ফিলিস্তিনের অ্যাম্বুলেন্স বহর ও আল শিফা হাসপাতালের গেটে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১৫ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার এ হামলা করা হয়। এ হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার ইসরাইল বাহিনী এ হামলা চালায় বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর রয়টার্সের।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল–কুদরা বলেন, ‘প্রথম হামলাটি হয়েছে গাজা সিটিতে। এতে অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। পরের হামলাটি হয়েছে আল–শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।’
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এসব হামলার দায় স্বীকার করে বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সে যাতায়াত করছিলেন।
এদিকে হামাসের এক কর্মকর্তা ইজ্জত এল রেশিক ওই অ্যাম্বুলেন্সে কোনো হামাসযোদ্ধা ছিল না বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে ইসরাইলও তাদের দাবির (অ্যম্বুলেন্সে হামাসযোদ্ধা ছিল) পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। আইডিএফ বলেছে, এটি একটি যুদ্ধক্ষেত্র। এই এলাকার বাসিন্দারের আমরা বারবার দক্ষিণের দিকে সরে যেতে বলেছি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শহরের রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সের পাশে রক্তাক্ত মানুষ পড়ে আছে। তাদের উদ্ধার করতে ছুটে আসছে অন্য মানুষ।
অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনটি অ্যাম্বুলেন্স একটি লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলোর পাশে অনেক মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, অ্যাম্বুলেন্সে হামলার খবর শুনে হতবাক হয়ে গেছি। অসুস্থ মানুষ, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা সুবিধাকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে হামলা চালায়। এর পর থেকে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত ২২ হাজারের বেশি। গাজায় এখনো অনবরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। ফলে হু হু করে বাড়ছে ফিলিস্তিনের বেসামরিক মানুষের হতাহতের সংখ্যা।