ইসরায়েল জাতিসংঘের বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার প্রধানদের যুদ্ধবিরতি আহ্বান উপেক্ষা করে সোমবার অবরুদ্ধ গাজায় ব্যাপক হারে হামলা চালিয়ে যুদ্ধরত হামাস যোদ্ধাদের ওপর আঘাত হানছে। জাতিসংঘ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ গাজায় মাসব্যাপী চামলা চালিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যার নিন্দা করেছে।
ইসরায়েলি সৈন্য ও ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধারা ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় ঘরে ঘরে হামলা চালাচ্ছে। যুদ্ধে গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস্ত্যুচুত ১৫ লাখ লোক প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভূখন্ডের অন্যান্য অংশে পালিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস সিএনএন’কে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হামাসকে আঘাত করছি এবং হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে দুর্গের পর দুর্গে অভিযান চালাচ্ছি।’
হামাস টানেলের ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো নেটওয়ার্কের প্রচেষ্টাকে আমাদের কব্জায় নিয়ে এসেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সৈন্য পদাতিক, বর্ম ও যুদ্ধ প্রকৌশলী রয়েছে। গাজা নগরীর বাসিন্দা আলা আবু হাসেরা বলেন, ভূমিকম্পের মতো হামলায় বিধ্বস্ত এলাকার পুরো ব্লকগুলো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক হামলা চালানোর পর ইসরায়েল হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বোমা হামলা চালায়। ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ১৪শ’র ও বেশি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে। এছাড়া ২৪০ জনেরও বেশি লোককে জিম্মি করে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলা ও তীব্র স্থল অভিযানে ৯,৭৭০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।