সরবরাহ বাড়ার সাথে সাথে রাজধানী ঢাকার বাজারে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। গত এক সপ্তাহে ব্যবধানে ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ কয়েকটি সবজির দাম ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আবার অবরোধের কারণে পাইকারেরা সবজি পাঠাতে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছেন। এতে উৎপাদনস্থলে সবজির দাম কমে গেছে। রাজধানীর মগবাজার, সেগুনবাগিচা, পলাশী ও হাতিরপুল বাজারে এসব চিত্র দেখা গেছে।
বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, শীতের নতুন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। তাতে দাম কমে আসছে। আবহাওয়াজনিত বড় কোনো সমস্যা না হলে সবজির দাম আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
রাজধানীর মগবাজার, সেগুনবাগিচা, পলাশী ও হাতিরপুল বাজারের ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে বেগুনের কেজি ছিল ১০০ টাকা। এখন বেগুনের কেজি ৭০-৯০ টাকা। এ ছাড়া শিমের দাম ১২০ থেকে কমে ১০০ টাকা, ৬০ থেকে ৭০ টাকার প্রতি পিস ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, ৮০-৯০ টাকার করলা, ধুন্দুল, ঝিঙে ও কচুমুখি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি মুলা ৫০ টাকা ও পেঁপে ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মরিচের কেজি ২০০-২৫০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১৫০-২০০ টাকা।
বাজারে টমেটো, গাজর ও বরবটির মতো বেশ কিছু সবজির দাম এখনো বেশি। এসব সবজির কেজি ১০০ টাকার আশপাশে। দেশে ৪-৫ দিন আগে আমদানি করা আলু প্রবেশ করেছে। এতে দেশি আলু দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। তাতে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।
আগাম ফসল তোলায় এখনো কিছু কিছু সবজির ক্ষেত্রে কৃষকেরা ভালো দাম পাচ্ছেন। রংপুর মিঠাপুকুরের কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ইতিমধ্যে কিছু শিম ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। গত বছর এক একর জমিতে দুই লাখ টাকার শিম বিক্রি করি। এবার তিন লাখের মতো বিক্রি হবে বলে আশা করছি।’