চলতি মাসের শেষের দিকে ঘোষণা হতে পারে আগামী নির্বাচনের তফশিল। এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশন প্রায় সকল কাজ সম্পন্ন করছে। এই সময়ের পর দলীয় প্রধান হিসেবে নির্বাচনের কেন্দ্রে থাকবেন শেখ হাসিনা। তফসিল ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আলাদা কার্যালয়ে বসবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয়টিই ব্যবহার করবেন তিনি। নতুন কার্যালয়ের প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন।
তফশিল ঘোষণার পর নতুন কার্যালয় থেকেই দলীয় সব সভা, মনোনয়ন চূড়ান্তের জন্য ধারাবাহিক বৈঠক এমনকি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে তিনি ব্যবহার করবেন নতুন এই কার্যালয়।
নির্বাচনের সময় যে কোনো ধরনের বিতর্ক এড়াতেই আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন নতুন কার্যালয় থেকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দিন পর্যন্ত কাজ করবেন বলে জানান দলের নেতারা। তারা বলেন, এজন্য কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নিজস্ব কক্ষ, নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, অন্তত পাঁচশ নেতাকর্মীর সঙ্গে বৈঠক করার মতো বড় হলরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও এই কার্যালয় থেকে নির্বাচনের সময় দলের সব কর্মকাণ্ড চালাবেন।
গতকাল সোমবার সকালে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হঠাৎ তেজগাঁওয়ের এই কার্যালয় পরিদর্শন করেন। তিনি কার্যালয় প্রস্তুতির সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সম্ভাব্য সদস্য বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগের জাতীয় নির্বাচনের সময়ও প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। গত সপ্তাহে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি যখন নির্বাচনে প্রার্থী হব, তখন এখানে (গণভবন) বসে ভিডিও কনফারেন্স করব না। যেহেতু বেশিরভাগ যোগাযোগ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করতে হবে, সেজন্যই তিনি তেজগাঁওয়ের কার্যালয় বেছে নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের জন্য রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় এ কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এই ভবনটি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সঙ্গে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগও ব্যবহার করবে।