৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৭ নভেম্বর শুরু হবে। চলবে ডিসেম্বরের ১১ তারিখ পর্যন্ত। ৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে।
এই লিখিত পরীক্ষাকে সামনে রেখে প্রার্থীদের জন্য ৫টি জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
নির্দেশনাগুলো হলো:
১) পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
২) পরীক্ষা হলে বই-পুস্তক, সব প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর (শুধু ৪ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিতব্য গাণিতিক যুক্তি বিষয়ের পরীক্ষায় সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে, সায়েন্টিফিক/প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না) সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো প্রার্থী পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
৩) পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব প্রার্থীর মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএস বার্তার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
৪) পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ পূর্বাহ্নে কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
৫) পরীক্ষার কেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে বর্ণিত নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশন কর্তৃক গৃহীতব্য সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য উক্ত প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ এর ধারা-১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ অনুযায়ী কোন অপরাধ সংঘটন করলে বা সংঘটনে সহায়তা করলে, তিনি যে ধারার অধীন অপরাধ সংঘটন করবেন বা সংঘটনে সহায়তা করবেন সে ধারায় বর্ণিত দন্ডে দন্ডিত হবেন।