পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ যে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রতি ১৫ মিনিটে নিহত হচ্ছে ১ জন ফিলিস্তিনি শিশু। এমন তথ্যই জানিয়েছে শিশুদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক এনজিও সেভ দ্য চিল্ডরেন।
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তার জবাবে ওই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই অভিযান এখনও চলছে। গত ১১ দিনের অভিযানে ইতোমধ্যে গাজা ভূখণ্ডে নিহত হয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ। এই নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু ও নারী রয়েছেন।
মঙ্গলবার এক লিখিত বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গত ১১ দিনের অভিযানে ১ হাজারেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে; অর্থাৎ গড় হিসেবে প্রতি ১৫ মিনিটে একজন করে শিশুর মৃত্যু ঘটছে গাজায়।’
৭ নভেম্বর গাজার আল-আহলিল আরব নামের একটি হাসাপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। এই হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৫০০ জন। গাজায় অব্যাহত বিমান হামলার পাশাপাশি সেখানে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। ফলে ভয়াবহ এক মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে এই উপত্যকায় বসবাসকারী প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি।
গতকাল এক বিবৃতিতে সেভ দ্য চিল্ডরেন কতৃপক্ষ গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেছেন ‘অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জনজীবনে ইতমধ্যে ভয়াবহ বিপর্যয় শুরু হয়েছে। উপত্যকায় পানির মজুত শেষ হয়ে যাচ্ছে ; সেই সঙ্গে ফুরিয়ে আসছে শিশুদের জন্য আসন্ন বিপর্যয় ঠেকানোর সময়সীমাও।’ ‘যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে যদি অবরোধ তুলে না নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে শিগগিরই গাজায় হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু দেখতে হবে আমাদের।