নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মঙ্গলবার সকালে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হক এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম সিইসির সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। এরপর বিকেলে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টি এম জোবায়ের।
বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, কী আলোচনা করেছেন, আমি কিভাবে জানব? সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ অন্যান্য বিষয় রয়েছে। এখন এ জাতীয় সাক্ষাৎ, আলোচনা প্রতিদিনই হতে পারে। আপনারা যেমন আমাদের কাছে প্রতিদিন তথ্য চাচ্ছেন, তথ্যগুলো দিতে গেলে আমাদেরও তথ্য সংগ্রহ করবে হবে। এজন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলি, আমরা বসব, বসতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৩০ অক্টোবর বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন।
ওইদিন সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন ও তাদের প্রধানরা যে বক্তব্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছেন, তাতে এখন পর্যন্ত নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। …এবং নির্বাচনের যে ধাপগুলো রয়েছে- নির্বাচনের সময়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময়, তফসিল ঘোষণার পর, প্রতীক বরাদ্দ থেকে নির্বাচনের তারিখ পর্যন্ত যখন যে পরিস্থিতি আসবে, তখন তারা কমিশনকে অবহিত করবেন এবং কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধেই তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হতে পারে ভোটগ্রহণ।