ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বলেছেন, বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন থাকলেও, ভারত এখানে অনুষ্ঠিত ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপে তাদের “দৃষ্টিকোণ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ” ব্যক্ত করেছে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে এখানে সংলাপের পর প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি বলেছেন, “আমরা আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেছি এবং বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন থাকায়, আমরা সংলাপে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছি।”
ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব আরমানে গিরিধা এবং এমইএ’র মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি অন্যান্যদের মধ্যে ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলী ও নির্বাচনী ইস্যু নিয়ে সংলাপে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে কোয়াত্রা বলেন, একটি তৃতীয় দেশের নীতির বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য এটা আমাদের (ভারত) কোন স্থান নয়। বাংলাদেশে নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং বাংলাদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে আমরা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি এবং একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল জাতি হিসেবে দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতি সমর্থন অব্যাহত থাকবে।”
গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই পক্ষ ভারত-মার্কিন ২+২ সংলাপের ৫ম বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পক, বহু-পাক্ষিক ও আঞ্চলিক সমস্যা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব, মূল্য সাপ্লাই চেইন সিকিউরিটাইজেশন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং কিভাবে বিভিন্ন সুযোগ কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে ব্যাপক পর্যালোচনা করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারত-পূর্ব-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর সহ কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি, কোয়াডের অধীনে অব্যাহত ও ক্রমবর্ধমান সহযোগিতা, ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব এবং বৈশ্বিক দক্ষিণে ভারতের নেতৃত্বের দৃষ্টিকোণ নিয়ে সংলাপে ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপে আমেরিকান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারতীয় পক্ষে নেতৃত্ব দেন।