আন্তর্জাতিক

গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পতনের দ্বার প্রান্তে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান

মোহনা অনলাইন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান শুক্রবার সতর্ক করে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ‘পতনের দ্বার প্রান্তে’ পৌঁছেছে। অঞ্চলটির ৩৬টি হাসপাতালের অর্ধেক আর কাজ করছে না।

নিরাপত্তা পরিষদের সাথে কথা বলার সময়, টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস গাজার সরজেমিন পরিস্থিতিকে ভয়ংকর বলে বর্ণনা করে বলেছেন, ‘হাসপাতালের করিডোরগুলো আহত, অসুস্থ, মৃত ব্যক্তিদের দ্বারা ঠাসা; মর্গগুলো উপচে পড়ছে; অ্যানেস্থেশিয়া ছাড়াই অস্ত্রোপচার; হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ হাসপাতালে আশ্রয় নিচ্ছে।’

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ‘পতনের দ্বার প্রান্তে’ আছে এবং তবুও জীবন রক্ষাকারী সেবা প্রদান করা অব্যাহত রয়েছে।’
টেড্রোস বলেছেন, গাজা এবং পশ্চিম তীরে স্বাস্থ্যসেবার উপর ২৫০টিরও বেশি আক্রমণ হয়েছে, যেমন হাসপাতাল, ক্লিনিক, অ্যাম্বুলেন্স এবং রোগীদের উপর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।

মিশরের সাথে রাফাহ ক্রসিং সহায়তা বৃদ্ধি এবং যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মীদের এবং তারা যে লোকেদের সেবা করে তাদের সমর্থন করার সর্বোত্তম উপায় হল তাদের সেই যতœ প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো দেওয়া, যেমন ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং হাসপাতালের জেনারেটরগুলোর জন্য জ্বালানী।’

ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলের ডব্লিউএইচও প্রধান বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারি গাজার শিশুরা কিসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কারণ, ছোটবেলায় আমি একই জিনিসের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম।’

‘হাওয়ায় গুলির শব্দ এবং গোলাগুলির শব্দ; তারা আঘাত করার পরে ধোঁয়ার গন্ধ; রাতের আকাশে ট্রেসার বুলেট; ভয়, যন্ত্রণা, ক্ষতি -এই জিনিসগুলো আমার সাথে সারা জীবন থেকে গেছে।’

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান মারওয়ান জিলানি এক ভিডিওর মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিষদকে ‘আরো মৃত্যু ও দুর্ভোগ এড়াতে যথাসাধ্য চেষ্টা করার’ জন্য সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছেন। কাউন্সিল যুদ্ধের বিষয়ে বিভক্ত এবং এটি একটি যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব জারি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি গাজা শহরের আল-কুদস হাসপাতালের ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, শুক্রবার ইসরায়েলি স্নাইপাররা এই হাসপাতালে গুলি চালিয়েছে। জিলানি বলেন, ‘আমাদের চরম উদ্বেগ হল আহত ও অসুস্থ সকলের জীবনের জন্য সরাসরি হুমকি, হাজার হাজার শিশু সহ হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকের’ জীবন নিয়ে উদ্বেগ।

জিলানি বলেন, ‘তারা আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে, আপনাকে অন্য একটি সম্ভাব্য গণহত্যার ঘটনা বন্ধ করার জন্য কাজ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’

নিরাপত্তা পরিষদ হামাসের হামলার শিকার গাজায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় নিহত বেসামরিক নাগরিকদের পাশাপাশি যুদ্ধে নিহত সাংবাদিক ও জাতিসংঘের কর্মীদের সম্মান জানাতে এক মিনিট নীরবতার মাধ্যমে তার বৈঠক শুরু করে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button