চলছে চতুর্থ দফার অবরোধ। বিএনপি-জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে আবার শুরু হয়েছে বাস পোড়ানো। অবরোধ শুরুর আগের রাত থেকে শুরু করে রোববার সকাল পর্যন্ত অন্তত ৯টি পরিবহনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
রোববার (১২ নভেম্বর) ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার রাত ৮টা থেকে ১২ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক মোট ৯টি আগুনের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৭টি, ঢাকা বিভাগে (গাজীপুর) একটি, বরিশাল বিভাগ (বরিশাল সদর) একটি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটটি বাস, একটি পিকআপ পুড়ে যায়।
রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে গাবতলী এক্সপ্রেস পরিবহনের (৮ নং) একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
রাত ৯টার দিকে গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
রাত ৯টা ২০ মিনিটে যাত্রাবাড়ী ফলপট্টির সামনে অনাবিল বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। একই সময় যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
রাত সাড়ে ৯টায় গাজীপুরের জুগিতলায় একটি পিকআপ আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। রাত পৌনে ১১টার দিকে পঙ্গু হাসপাতালের সামনে বৈশাখী পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। রাত ১১টার দিকে আগারগাঁওয়ের তালতলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে শিখড় পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে কাফরুল থানার বিপরীতে প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। মিরপুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
রাত ১২ টায় রুপনগর থানার সামনে ১টি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঢাকার বাইরে রাত সাড়ে ৩টায় বরিশালে মা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
সবশেষ আজ সকালে অবরোধ শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকায় মালঞ্চ পরিবহন নামে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।