জাতীয়

২৪ প্রকল্প উদ্বোধন করতে আজ খুলনা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

মোহনা অনলাইন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনায় যাচ্ছেন। এদিন বিকাল তিনি খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায় যোগ দেবেন। সেখানে ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর এই মহাসমাবেশ ঘিরে খুলনা পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে ১০ লাখ মানুষ সমাগমের প্রত্যাশা করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

খুলনায় নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে প্রস্তুত করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা মঞ্চ। সার্কিট হাউস ময়দানের আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে নিচে নৌকা ও উপরে পদ্মা সেতুর আদলে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য, ৪০ ফুট প্রস্থ ও সাড়ে ১৩ ফুট উঁচু সুবিশাল মঞ্চ। যেখানে অন্তত ৪০০ জন অতিথি বসতে পারবেন।

খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে দুপুর পৌনে ১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন। এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন তিনি। বেলা পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউজ মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপর যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী জনসভায় যোগদানের আগে প্রধানমন্ত্রী অন্তত ২৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে। তালিকায় থাকা এসব প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি স্থাপনা হচ্ছে নগরীর সাউথ সেন্টাল রোডে নির্মিত ‘১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ ভবন, শামসুর রহমান রোডের সিভিল সার্জনের অফিস ভবন, খালিশপুরে নির্মিত বিএসটিআইয়ের ১০তলা আঞ্চলিক অফিস ভবন, নারীদের জন্য নির্মিত ১০ তলা হোস্টেল ভবন, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ ভবন, ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবন, ভদ্রা নদীর ওপর নির্মিত গার্ডার সেতুসহ অন্যান্য প্রকল্প।

প্রধানমন্ত্রীর খুলনায় আগমন উপলক্ষে এ অঞ্চলের মানুষের দাবি অনেক। বিশিষ্টজনরা বলছেন, খুলনার উন্নয়নে এখনও অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নেওয়া দরকার। এসব প্রকল্পের মধ্যে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ, উত্তর খুলনার সাথে শহরের সংযোগ স্থাপনের জন্য জেলখানা ঘাটে ভৈরব নদে ট্যানেল নির্মাণ, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ, অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন, ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপন, বন্ধ জুটমিল চালু, কন্টেইনার স্টেশন স্থাপন, পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্র চালু, বোটানিক্যাল গার্ডেন, মেরিন একাডেমিসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক প্রকল্প দ্রুত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি কার্যকর ভূমিকা চান খুলনার মানুষ।

এর আগে, সবশেষ ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানান, জনসভাস্থলে আসা এবং জনসভা শেষে যাতে লোকজন নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যাতে যানজট সৃষ্টি না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। নৌপথে নৌ-পুলিশ টহল দেবে। জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশ আনা হয়েছে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button