বিনোদন

বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সানিয়া এশা

মোহনা অনলাইন

দেশের জনপ্রিয় উপস্থাপকদের একজন রাফসান সাবাব। কলেজে পড়াকালে উপস্থাপনার সঙ্গে জড়ান রাফসান সাবাব। আইবিএর শেষ বর্ষে থাকাবস্থায় ‘টেন মিনিটস স্কুল’-এর প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিকের সঙ্গে তার কাজের সুযোগ হয়।

আয়মান সাদিকের সহযোগিতায় ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করেন ‘টেন মিনিটস স্কুল শো’র। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেন। এর পর রাফসান লঞ্চ করেন ‘হ্যাশ ট্যাগ’ নামে আরেকটি শো। সেটিও দর্শকপ্রিয় হয়। সবশেষে তিনি লঞ্চ করেন ইউটিউব শো ‘হোয়াট অ্যা শো’। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শোটি এখন দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ইউটিউব শো।

২০২০ সালের অক্টোবরে বেশ ঘটা করেই চিকিৎসক সানিয়া এশাকে বিয়ে করেছিলেন উপস্থাপক রাফসান সাবাব। কিন্তু হটাঠ এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজের বিবাহবিচ্ছেদের খবর জানান রাফসান।

যা নিয়ে চিকিৎসক সানিয়া এশা রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে কথা বলেন। পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমি এই ডিভোর্স চাইনি। এটা আমাদের দুজনের সিদ্ধান্তে হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমি শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করে গেছি বিয়েটা টিকিয়ে রাখার জন্য। বিয়ে এবং স্বামী ছিল আমার প্রথম অগ্রাধিকার। আমি তার প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। কিছু বড় সমস্যা ছিল, যেগুলোর জন্য আমি নিজেই হয়তো সব শেষ করে দিতে পারতাম। কিন্তু একটা মেয়ে কখনোই চায় না তার সংসার ভেঙে যাক।

তিনি আরও বলেন, অনেক বিষয় আছে যেগুলো আমি এখন প্রকাশ করতে চাই না। এভাবে আমি নিজেই হয়তো সংসার আর চালিয়ে যেতে পারতাম না। কিন্তু আমার এতটুকু বিশ্বাস ছিল, অন্তত সঠিক আইনানুগ উপায়ে কিংবা যেটা সত্যি সেটা সবার সামনে একসেপ্ট করে সত্যিটা মেনে নিয়ে সবার সামনে ঘোষণা দেয়া হবে।’

এশা বলেন,
তিনি তালাকের কাগজ নিয়ে এগিয়ে যান, নোটিশে স্বাক্ষর করলেন। তারপর আমার স্বাক্ষর ছাড়াই এবং তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য তিন মাস অপেক্ষা না করে তিনি (রাফসান সাবাব) পাব্লিকলি ঘোষণা করলেন। আমার কাছ থেকে সম্মতি না নিয়েই। হঠাৎ বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণাটি আমার কাছে অত্যন্ত মর্মান্তিক ছিল, আমি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি মানসিকভাবে দুর্বল এবং ভেঙে পড়েছি। সবাই আমাকে দোয়ায় রাখবেন।

তিন বছর সংসার জীবনের পর চলতি মাসে বিবাহ বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন এই দম্পতি।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button