জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি অনলাইনে,খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। বোমা ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষজনের ওপর। আক্রমণ চলছে হাসপাতালেও। একটি ছবিতে দেখেছিলাম পরিবারের সবাই মারা পড়েছেন, আর সবার লাশের সামনে বসে আছেন বেঁচে যাওয়া একজন মাত্র মানুষ।
কদিন আগেই ঘরে তুলেছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর ৫ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০ নভেম্বর থেকে টানা আটদিন কাটাবেন গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে; কারণ ভারতের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবে তিনি একাই নেতৃত্ব দেবেন তিন ভাষায় অভিনীত নিজের পাঁচ সিনেমার! এতো কিছুর মাঝেও ভীষণ ভীষণ বিষণ্নতায় ডুবেছেন জয়া আহসান।
জয়া আহসান তীব্র কণ্ঠে বিশ্ব নেতাদের প্রতি দাবি করেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের ঘরে ফিরুক। ওদের বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর বড় বড় মানুষেরা কি এক হতে পারেন না? এটা কি খুব বড় প্রত্যাশা?’
জয়ার ভাষায়, ‘ভাঙা মনটাকে সরিয়ে কাজে নেমে পড়ি ঠিকই। নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির প্রচারে যাচ্ছি, যোগ দিচ্ছি পুরস্কার অনুষ্ঠানে, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর জন্য মনে অপরাধ–অপরাধও লাগে। আমার বা আমাদের জীবন তো চলছে, কিন্তু ওদের জীবন তো প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি। তাদের অসহায়তা দেখে গলাটা বুজে আসে বার বার।’
এই প্রত্যাশা রেখেই গোয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন জয়া আহসান। কারণ ২০ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাওয়া এই উৎসবে জয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছে তার পাঁচটি চলচ্চিত্র আর অসংখ্য সিনেমা সমালোচক। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলা এই উৎসবে প্রিমিয়ার হচ্ছে জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘কড়ক সিং’ এবং প্রথম ইরানি ছবি ‘ফেরেশতে’।