বর্তমান সরকারের কাছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও রীতিনীতির ন্যূনতম অনুশীলন আশা করা যায় না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট। ২৮শে অক্টোবর বিরোধী দলের ওপর ক্র্যাকডাউনের পর থেকে সরকার যে মিথ্যা মামলা-হামলা ও অন্যায় গ্রেপ্তার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি পেছানোর সিদ্ধান্তে সরকার পুনরায় প্রমাণ করেছে যে তাদের কাছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও রীতিনীতির ন্যূনতম অনুশীলন আশা করা যায় না। সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আমাদের সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে সবার আগে সরকার একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। ড. মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত হচ্ছে পরমতসহিষ্ণুতা ও ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন। আজকে তিন সপ্তাহের বেশি অতিক্রান্ত হবার পরেও বিএনপি মহাসচিবের বেইল পিটিশনের শুনানি পেছানোর সিদ্ধান্তে সরকার পুনরায় প্রমাণ করেছে যে; এই সরকারের কাছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও রীতিনীতির ন্যূনতম অনুশীলন আশা করা যায় না।
তিনি আরও বলে, আজকে তিন সপ্তাহের বেশি অতিক্রান্ত হবার পরেও বিএনপি মহাসচিবের বেইল পিটিশনের শুনানি পেছানোর সিদ্ধান্তে সরকার পুনরায় প্রমাণ করেছে যে- এই সরকারের কাছে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও রীতিনীতির ন্যূনতম অনুশীলন আশা করা যায় না। এমতাবস্থায় বিরোধী দলকে এই সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে যোগ দেবার শর্তে নির্বাচনী সিডিউল পিছিয়ে দেবার মুলো ঝুলানোর আহ্বানের ওপরে দেশের মানুষ কীভাবে আস্থা থাকতে পারে, সেটাই আজ দেশবাসীর জিজ্ঞাসা।