বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে পর পর তিন বার নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। এদিকে দামি দামি পোশাক পরে আর সেসব নিয়ে মন্তব্য করে নিজেকে আলোচনায় রেখেছেন জায়েদ খান। কিন্তু নিজের হাতে পরা রোলেক্স ঘড়ির মূল্য কখনই বলেননি এই নায়ক। অবশেষে মুখ ফোঁসকে ঘড়ির দাম বলে ফেললেন তিনি।
সোমবার (২০ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জায়েদ খান। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়াগ্রাফি’র অটোবায়াগ্রাফি’র প্রচারের তাকে দেখা যায়।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কিভাবে তার সিনেমার নামটি প্রচার করা যায় দর্শকদের কাছে ফারুকী সেই দায়িত্ব দেন তার পাশে বসা মারজুক রাসেলের ওপর। মারজুক রাসেল সিনেমার নাম ভাইরাল করার দায়িত্ব দেন পরিচালক-অভিনেতা আশুতোষ সুজনের কাঁধে। সুজন তখন অভিনেতা নাসিরউদ্দিন খানকে বলেন এই দায়িত্ব নিতে। নাসিরউদ্দিন নিজেকে শিশু ভাইরাল দাবি করে ভাইরালের বাপ উল্লেখ করে এই কাজের দায়িত্ব দেন জয়ের ওপর। এরপর জয়ের কাছে ক্যামেরা আসতেই জয় বলেন, ভাইরালের দাদা জায়েদ খান এই সিনেমার নাম ভাইরাল করতে পারবেন। প্রসঙ্গে আসে জায়েদ খানের ডিগবাজি। জায়েদ তখন নিজের হাতের ঘড়ি খুলে জয়ের হাতে দেন। বলেন, রোলেক্স রোলেক্স! সাবধানে সাবধানে। জয় তখন বলেন দাম কত। এবার জায়েদ মুখ ফোঁসকে বলেই ফেলেন ২৬ লাখ ২৬ লাখ।
ঘড়ি জয়ের হাতে দিয়ে পরপর দুটি ডিগবাজি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা হেলিকপ্টারের স্ট্যান্ডে বসে পড়েন জায়েদ। এরপর বলেন, ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়াগ্রাফি’ দেখতে সবাইকে ৩০ নভেম্বর চোখ রাখার আহ্বান জানান। নয়তো ডিগবাজি দিয়ে যেকোনো সময় যেকোনো ঘরের দরজা খুলে ঢুকে পড়বেন তিনি!
এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার নিজের ব্যবহৃত পোশাকের দাম জানিয়েছেন জায়েদ খান। যা অধিকাংশই ছিল আকাশছোঁয়া। তবে সত্যিই কি এত দামি ঘড়ি বা পোশাক ব্যবহার করেন তিনি, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।