৫৩তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্টের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে, ডিপার্টমেন্ট অব সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটিজের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল গিলেস মিশউড, জাতিসংঘের মিলিটারি অ্যাডভাইজর জেনারেল বিরামে ডিওপসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত (স্থায়ী প্রতিনিধি) ও সামরিক উপদেষ্টারা (মিলিটারি অ্যাডভাইজর) অংশ নেন।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদেকুজ্জামান আসা অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন। এরপর উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন জাতিসংঘ নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত। পরে স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত আসা অতিথিদের নিয়ে কেক কাটেন এবং সবাইকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। বক্তব্যের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধস্ত দেশের পুনর্গঠনে প্রশংসনীয় অবদান রাখছে। এ সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।’
আগত অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অধিকতর আধুনিকায়নে বিভিন্নমূখী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এই উদ্যোগসমূহের বাস্তবায়ন সশস্ত্র বাহিনীকে আরো দক্ষ ও শক্তিশালী করে তুলবে। সর্বোপরি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’
অনুষ্ঠানে দেশে ও বিদেশে সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে আগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে একটি তথ্যবহুল ব্রিফিং উপস্থাপন করেন মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদেকুজ্জামান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ যে অবদান রেখে যাচ্ছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।