বিএনপির সমমনা দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, আন্দোলনের এই পর্যায়ে সরকারবিরোধী হিসেবে পরিচিত দলগুলোর নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণায় রাজনৈতিক দৃশ্যপটে বেশ পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে।
সরকারের পতন চেয়ে আন্দোলনরত দলগুলোর অনেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে। এত দিন বিএনপির সঙ্গে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে থাকা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বে তিন দলের জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’ গতকাল বুধবার নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আরো কয়েকটি দলকে নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত করার চেষ্টা চলছে।
সমমনা দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা জানান, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদল ও নির্বাচনে জিতে আসার সম্ভাবনা থাকায় তাঁরা মত পাল্টিয়েছেন। যুক্তফ্রন্টে আরো কয়েকটি দল যুক্ত হতে পারে। বিএনপির আন্দোলনের জোটসঙ্গী গণতান্ত্রিক মঞ্চের একটি শরিক দলের শীর্ষ নেতা বেশ কয়েক দিন ধরে কর্মসূচিতে অনুপস্থিত। ওই নেতাকে নিয়েও নানা ধরনের গুঞ্জন আছে।
এত দিন ধরে ৩৬টি রাজনৈতিক দল নিয়ে যুগপত্ আন্দোলন করছিল বিএনপি। এর মধ্যে সৈয়দ ইবরাহিমের দলকে নিয়ে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের অবিশ্বাস ছিল। এখন কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার আন্দোলনের মাঠে অনুপস্থিতি, কারো কারো হঠাত্ আড়াল হয়ে যাওয়ার বিষয়টিও নানা আলোচনার জন্ম দিচ্ছে।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দুই দিন আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকেও জোট শরিকদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের শঙ্কা নিয়ে আলোচনা হয়।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও গতকাল দুপুরে নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। এত দিন তারা নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে অস্পষ্টতা রেখেছিল। যদিও গত সোমবার থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে দলটি। দলটি বলেছে, তারা কোনো জোটে যাবে না।