ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির নানা শামসুল হক গাজী মারা গেছেন । বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) মধ্যরাত ২টা ১১ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শুক্রবার সকালে ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এ খবর জানিয়েছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। তিনি বলেছেন, শুক্রবার রাত ২টা ১১ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরীমনির নানা শামসুল হক গাজীর মৃত্যু হয়েছে। এই হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন পরীমনির নানা।
শামসুল হক গাজীর বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার সিংহখালী গ্রামে। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক ছিলেন। ‘আমাদের শ্রদ্ধেয় নানুভাই..’ ক্যাপশন দিয়ে ফেইসবুকে চয়নিকা লিখেছেন, “
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, আমাদের শ্রদ্ধেয় নানুভাই… পরীমণির প্রিয় নানুভাই রাত ২টা ১১ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় সবাইকে কাঁদিয়ে আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন। আজাদ মসজিদে গোসল করানোর পর ভোর ৪টায় পরীমণি নানুভাইকে নিয়ে এখন তার নিজ গ্রামের পথে। সেখানেই নানীর পাশে নানুভাইকে শায়িত করা হবে।
তিনি আরও লিখেছেন, সবাই পরীর জন্যে, পরীর নানুভাইয়ের জন্যে দোয়া ও প্রার্থনা করবেন, যেন পরপারে তিনি শান্তিতে থাকেন। পরী যেন সহ্য শক্তি পায়। আহা! নানুভাই আপনাকে কোনদিন ভুলব না। আমার দেখা আপনি অসাধারণ সুশিক্ষিত একজন মানবিক মানুষ। আপনার ভালোবাসা অমলিন। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।
পরিমণির নানাবাড়ি পিরোজপুরে। ছোটবেলায় মা মারা যাওয়ার পর নানা বাড়িতেই বেড়ে ওঠেন পরিমণি। নানাবাড়িতে থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন তিনি। পরিমণির নানা শামসুল হক পিরোজপুরেই থাকতেন। তবে মাঝে মাঝে পরিমণির আবদারে ঢাকায় ছুটে আসতেন তিনি।