দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান এবং শাহ মো. আবু জাফরকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
মঙ্গলবার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার ‘সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে’ একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু এবং ঢাকা জেলাধীন ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জুকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করে দলটি।
উল্লেখ্য, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল বিএনপির হাইকমান্ড। কিন্তু বহিষ্কৃত দুই নেতা সম্প্রতি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ভিন্ন দলের ব্যানারে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই কারণেই তাদের দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এর আগেও কয়েকজনকে বহিষ্কার করেছে দলটি। একরামুজ্জামান ২০০১ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র এবং ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে ব্রাক্ষ্মবাড়ীয়া-১ আাসনে নির্বাচন করেন।
যদিও কোনোবারই তিনি নির্বাচিত হতে পারেননি। শাহ মো. আবু জাফর ১৯৭৯ সালে ফরিদপুর-৪ আসন নৌকা প্রতীকে ’৮৬ ও ‘৮৮ সালে লাঙ্গল প্রতীকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য হন। জাতীয় পার্টি থেকে ২০০৩ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ২০০৫ সালে উপ-নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। শাহ মো. আবু জাফর গত ২১ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের নতুন নিবন্ধন পাওয়া বিএনএম (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন) দলের যোগ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন।