বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির ঘোষিত তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। অন্যথায় দেশকে ফ্যাসীবাদ মুক্ত করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা দেশকে হানাহানি ও অনিশ্চিত গন্তব্যের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তাই এই অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী শক্তির হাত থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে হলে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। মঙ্গলবার রাজধানীতে কাফরুল-মোহাম্মদপুর অঞ্চল আয়োজিত এক ভার্চুয়াল রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ও কাফরুল অঞ্চল পরিচালক ডা. ফখরুদ্দীন মানিকের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও মোহাম্মদপুর অঞ্চল পরিচালক জিয়াউল হাসানের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সরকারের জুলুম-নির্যাতন যত বাড়ছে রাজপথ ততই উত্তাল হয়ে উঠছে। অবৈধ নৈশ্যভোটের সরকার আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি, নৈশ্যভোটের সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে জনগণ আজ রাজপথে ঐক্যবদ্ধ। রাজপথে গণজোয়ার দেখে তারা বেসামাল ও অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করেছে। তিনি গণদাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, ডা. শফিউর রহমান ও মশিউর রহমান প্রমুখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, সরকার দেশ থেকে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করার জন্যই জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। তারা রাজনৈতিক ময়দানকে প্রতিপক্ষ শূণ্য করার জন্যই বিরোধী দলের ওপর দলন-পীড়ন চালাচ্ছে। সরকার মজলুম জননেতা আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারাগারে অন্তরীণ রেখে পুরো দেশকেই প্রকারান্তরে বন্দীশালায় পরিণত করেছে। আওয়ামী ফ্যাসীবাদীরা দেশকে মেধা ও নেতৃত্বশূণ্য করার জন্য আমিরে জামায়াত ও বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ জামায়াতের শীর্ষনেতাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে। এমতাবস্থায় এই সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে সকলকে ময়দানে অগ্রসৈনিকে ভূমিকা পালন করতে হবে।