রানি মুখার্জি, এই নামটার সঙ্গে আর নতুন করে আলাপ করানোর কিছু নেই। সম্প্রতি, ৫৪ তম IFFI-তে ‘ডেলিভারিং কম্পেলিং পারফরম্যান্স’-এর একটি মাস্টারক্লাস চলাকালীন হাজির হয়েছিলেন রানি। সেখানে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচলিত ‘বয়সবাদ’ বিতর্ক নিয়ে কথা বলেন।
রানি বলেন, ‘আমি মনে করি না একজন অভিনেতাকে বয়স দিয়ে বিচার করা উচিত। এটি শুধুমাত্র এই কারণে যে দর্শক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তরুণদের পর্দায় দেখতে চান। তবে, আপনাদের এই ভ্রান্ত জগতে না থাকা এবংএটা বিশ্বাস করাও গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি সর্বদাই তরুণ। আপনি মনের দিক থেকে তরুণ হতে পারেন কিন্তু আপনার বয়সকে মেনে নেওয়া এবং আপনার বয়সের সঙ্গে মানানসই ভূমিকা গ্রহণ করাও গুরুত্বপূর্ণ’।
দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে প্রাসঙ্গিক রয়েছেন রানি মুখোপাধ্যায়। এবং বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় নিয়ে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চলেছেন। এ পসঙ্গে রানি বলেন, ‘যেভাবে আমার দর্শকরা আমাকে পছন্দ করেছে এবং আমাকে গ্রহণ করেছে, সেভাবেই কাজ করেছি। দর্শকই আসলে আমাকে এই বয়সবাদের বাধা ভাঙতে সাহায্য করেছে। আর আমি আমার দর্শকদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে আমি নিশ্চিতভাবে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করে যাব। আমি শীঘ্রই আমার তোয়ালে ঝুলিয়ে দিচ্ছি না। (আমি দ্রুত অবসর নিচ্ছি না)’
বছর ৪৫-এর রানিকে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিতে শেষবার দেখা গিয়েছে। রানির কথায়, ‘আমি আমার তৃতীয় ছবি কুছ কুছ হোতা হ্যায়তে একজন মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। তারা রাম পাম ছবিতে আমি দুই সন্তানের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করেছি চরিত্রের বয়স ফ্যাক্টরকে গুরুত্ব না দিয়ে যে চরিত্রে অভিনয় করছি তার প্রতি সুবিচার করতে। যাতে দর্শকরা যখন আমাকে পর্দায় দেখছেন, তাঁরা আমায় রানি মুখার্জিকে মনে না করেন।’
রানির কথায়, ‘আজ যদি আমাকে একজন কলেজ ছাত্রীর চরিত্রে অভিনয় করতে হয়, আমি তা করতে পারি। তবেদর্শককে দেখাতে হবে যে আমি একজন মা এবং ৪০ বছর বয়সেও আমি কলেজে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি চরিত্রটাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে। আপনার বয়স কত তা আপনার দর্শকদের কাছে যেন যুক্তিযুক্ত কারণ থাকে। প্রসঙ্গত হিচকির ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যে একজন ৬০ বছর বয়সী চরিত্রে অভিনয় করেন রানি।