পাকিস্তানের কোহিস্তান জেলার কোলাই পালাস (কেপি) এলাকায় এক কিশোরীর একটি নাচের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে মেয়েটিকে ছেলেদের সঙ্গে নাচ করতে দেখা গেছে।
ভাইরাল এই ভিডিওর জেরে কিশোরীকে খুন করেছে তার বাবা ও চাচা। খবর এআরওয়াই নিউজের। স্থানীয়রা জানায়, কেপি এলাকার বারশিয়াল গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানরা ভিডিও ভাইরালের জেরে ওই কিশোরীর বিরুদ্ধে বিচার বসায়। পরে পঞ্চায়েতের নির্দেশে কিশোরীকে তার বাবা ও চাচা মিলে খুন করে।
এদিকে কোহিস্তান জেলার পুলিশ অফিসার মুখতিয়ার তানোলি জানান, পঞ্চায়েতের নির্দেশে নয় বরং পরিবারের লোকজনই হত্যা করেছে মেয়েটিকে। বুধবার (২২ নভেম্বর) নিহত কিশোরীসহ ২ জন মেয়ের একটি নাচের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে যে ভিডিওটির জন্য মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ এডিট করা ছিল।
ভিডিওতে থাকা অপর মেয়েটি নিরাপদ আছে এবং তার জীবনের কোনো ঝুঁকি নেই বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পালাস থানার স্টেশন হাউস অফিসার পাকিস্তান পেনাল কোডের ৩০২/৩১১ এবং ১০৯ ধারায় খুনের মামলা করেছে। ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
কেপির মুখ্যমন্ত্রী আরশাদ হুসেন শাহ স্বরাষ্ট্র সচিবকে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ভিডিওতে থাকা অপর মেয়েটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানে নারীদের প্রতি এধরনের সহিংস ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০১১ সালে পারিবারিক অনুষ্ঠানে নাচার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৫ নারী ও এক পুরুষকে হত্যা করেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা। পরবর্তীতে নিহত পুরুষের তিন ভাইকেও হত্যার প্রতিবাদ করায় খুন করা হয়।