গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা এতোটাই তীব্র রূপ নেয় যে, বিগত সময়গুলোতে ওই উপত্যকায় যতো হতাহত হয়েছে তা ২১ মাসে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের হতাহতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। মাঝে সপ্তাহখানেকের বিরতি চললেও আবারও শুরু হয়েছে হামলা। বর্বর এই আগ্রাসনে নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
এই হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ১০ হাজারের বেশি। সব মিলিয়ে এক চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে গাজার লাখ লাখ মানুষ। হামলা থেকে বাঁচতে সবাই দক্ষিণের পথে পা বাড়ালেও জাতিসংঘ বলছে গাজার কোন জায়গায়ই নিরাপদ নয়। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত পার হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ারও কোন সুযোগ নেই এই লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের।
এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে যুদ্ধের আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতির প্রধান। একইসঙ্গে গাজায় আক্রমণ পুনরায় শুরু করার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছেন তিনি। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
দেড় মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বাত্মক হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে ইসরায়েল ও হামাস। এরপর দুই দফা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে একমত হয় দুপক্ষ। তবে শুক্রবার সকাল ৭টায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলেও
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা পুনরায় শুরু করার জন্য ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল। একইসঙ্গে গাজায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং যুদ্ধের আইন মেনে চলার জন্য তেল আবিবের বাধ্যবাধকতার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি ‘শুধু নৈতিক বাধ্যবাধকতাই নয়, এটি আইনি বাধ্যবাধকতাও।’