শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শেখ হাসিনার হাতে আমরা একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি পেয়েছি। পাশাপাশি ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য অনেক গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে কিন্তু একটি পক্ষ এ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। একটি জাতীয় শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি।
তিনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ানক রকম অপপ্রচার চলছে। সেটি করা হচ্ছে— ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ হানি হওয়ার ভয়ে। ‘নতুন শিক্ষাক্রমের অংশ নয়— এমন বিষয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে ব্যাপকভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শনিবার দুপুরে জামালপুর সদর উপজেলার পিয়ারপুর শাহিদা খায়ের বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৫০ বছর এবং মহারাজা শশীকান্ত স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মিলন মেলায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
‘শিক্ষাক্রম নিয়ে মিথ্যাচার’-এর প্রতিবাদ জানিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অভিভাবকরা দীর্ঘদিন থেকে অভ্যস্ত— বাচ্চা কত নম্বর পেলো; জিপিএ-৫ পেলো কিনা; প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হলো কিনা; অন্যের বাচ্চার চেয়ে আমার বাচ্চা বেশি নম্বর পেলো কিনা; এই বিষয়গুলো নিয়ে অতিমাত্রায় ব্যস্ত ছিলেন তারা। সে জায়গা থেকে বেরিয়ে প্রত্যেকটি কাজে সহযোগিতার জায়গায় তারা কাজ করছেন। এই বিষয়গুলোর জন্য বাবা-মায়ের কিছু সংশয় তো কাজ করছেই। সেগুলোকে এই গোষ্ঠী (মিথ্যাচারকারী) কাজে লাগাচ্ছে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ যেটা, একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে মিথ্যাচার করছে। এমনকি ধর্মীয় বিষয় নিয়েও মিথ্যাচার করছে, সেগুলো জঘন্য মিথ্যাচার। তার পাশাপাশি অতি সম্প্রতি দেখছি—যেগুলো আমাদের প্রশিক্ষণের অংশ নয়, শিক্ষক প্রশিক্ষণের অংশ নয়, ক্লাসের অংশ নয়, নতুন শিক্ষাক্রমের অংশ নয়, তেমন নানান রকমের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
অভিভাবকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একটু দেখুন, আপনার সন্তানদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আপনার বাচ্চা যদি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে থাকে তাহলে তার আচার-আচরণ পরিবর্তন হয়েছে। সে কত নম্বর পেয়েছে সেদিকে নজর না দিয়ে সে শিখলো কিনা, সেদিকে নজর দিন। একটু ধৈর্য ধরুন।‘
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, পিজি হাসপাতালের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সাবেক ডিন চিকিৎসক সোহরাব আলী, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুল আলম, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক গোলাম কিবরিয়া ও শাহিদা খায়ের বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশরাক আলীসহ প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা বক্তব্য দেন।