গত চব্বিশ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ৭ শতাধিক এর বেশী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপত্যকার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক।
তিনি আরও জানিয়েছেন, গাজায় এখন ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। গতকাল শনিবার ৭ দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে গাজায় ফের বোমা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। উপত্যকার ৪০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে তারা।
উত্তর গাজার পর এখন উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। সংঘাতের শুরুতে উত্তর গাজায় হামলা চালানোর সময় সাধারণ মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে চলে গেলে নিরাপদ থাকা যাবে। কিন্তু এখন এই দক্ষিণ গাজাতেই হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি হচ্ছে।
প্রায় দেড় মাস সংঘাতের পর গত ২৪ নভেম্বর গাজায় প্রথম দফায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর দুই দফায় মোট তিন দিন বাড়ানো হয় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ।
এদিকে গতকাল শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলিকে ফিরিয়ে নেওয়া, ইসলামপন্থি আন্দোলনকে নির্মূল করাসহ ‘সব লক্ষ্য যতক্ষণ না আমরা অর্জন করি, ততক্ষণ গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে’। এদিকে হামাস বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত জিম্মি-বন্দি বিনিময় আলোচনা ফের শুরু হবে না।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এ হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়। জবাবে ওই দিন থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।