মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ এর জি/৩ ব্লকে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এ দু’সন্ত্রাসী বাহিনী প্রায় ৩০-৪০ জনের দল জড়ো হয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৃথক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে ৪ জন নিহত হন। নিহতরা হচ্ছেন, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ ব্লক: জি/৩ এর কামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৫), মো. আলীর ছেলে মো. জোবায়ের (১৮) ও ক্যাম্প-১৫ ব্লক: জি/৬ এর মো. শফিকের ছেলে আনোয়ার সাদেক (১৭) তিনজন নিহত হয়।
অপরদিকে, একই সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৭ এর সি/৭৭ ব্লকে আরসা সন্ত্রাসী ১০/১২ জনের একটি দল আবুল কাসেম নামের একজন সাধারণ রোহিঙ্গাকে আরএসওর সোর্স সন্দেহে মাথায় গুলি করে হত্যা করে।
দু’সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যেই প্রায় ঘন্টা দুয়েক গোলাগুলি চলে। এ ঘটনার খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ঘটনাস্থল থেকে দু’সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যান।পরবর্তীতে পুলিশ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায়।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় নিহতদের লাশ গুলো উদ্ধার ও সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। সকালে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে উল্লেখ করেন ওসি।
খুবই পরিতাপের বিষয় হচ্ছে দিনে দিনে রক্তের হুলি খেলায় পরিনত হয়েছে। খুনোখুনি, রক্তপাত যেন নিত্যদিনের ঘটনা। গত ২০ নভেম্বর থেকে বুধবার সকাল (৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ১৬দিনে ক্যাম্প মাঝিসহ ১০ জন খুন হয়েছেন।
বার বার খুনোখুনি ও রক্তপাতের ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প জুড়ে অস্থিতিশীল ও আতঙ্ক অবস্থা বিরাজ করছে। মিয়ানমার কেন্দ্রীক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা-আরএসও এর সদস্যরা আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নির্মম এ হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটাচ্ছে বলে সাধারণ রোহিঙ্গা, স্থানীয়, সচেতন মহল ও সংশ্লিষ্ট আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের অভিমত