জাতীয়

শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায়ন

মেহনা অনলাইন

ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের মতে, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম স্থানে অবস্থান করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউএসএতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের নারী নেতাদের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বলেছেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে ৭ম অবস্থানে অবস্থান করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে একটি রোল মডেল হিসেবে তৈরি হয়েছে। নারীদের অংশ গ্রহণকে ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা প্রণয়ন করা হয়েছে। সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপিত হয়েছে, যেখানে অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক নারী কর্মী কাজ করছেন।

জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৫০। বর্তমানে সংরক্ষিত আসন ৫০টি এবং নির্বাচিত ২২ জনসহ মোট ৭২ জন নারী সংসদ সদস্য এখন আছেন। স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচিত নারী প্রতিনিধিও আছেন ১২ হাজারের আশেপাশে। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম স্থানে অবস্থান করছে (২০২১সাল), যেখানে ভারতের অবস্থান-৫১, পাকিস্তান ৯৮, শ্রীলংকা ৯০। গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপইনডেক্স ২০২০ র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৫০। অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরষ্ট্রের অবস্থান ৫৩, ইতালি৭৬, ইন্ডিয়া ১১২, যেখানে প্রথম অবস্থানে আছে আইসল্যান্ড।

নারীদের অংশ গ্রহণকে ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা প্রণয়ন করা হয়েছে। শিক্ষা, চাকরি,  শ্রমবাজার, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যাপারগুলোতে এগিয়ে না নিলে নারীদের যোগ্য জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই বর্তমানে নারীদের ক্ষমতায়ন ও সমাজে তাদের সম অধিকার দিতে মুল বাজেটের ৩০ শতাংশের বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এখন নারীদের অবদান মোট জিডিপির ২০ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশের মূল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সেক্টর হলো আরএমজি সেক্টর। এই সেক্টরের শতকরা ৮০ শতাংশনারী। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছে নারীরা যেমন- বিচারপতি, সচিব, ডেপুটি গভর্নর, এমনকি মানবাধিকার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নারীরা। সমাজের সর্বস্তরে নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা অর্জন করার জন্য চারটি সূচকের দিকে নজর দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ এবং সুযোগ, শিক্ষা অর্জন, স্বাস্থ্য, বেঁচে থাকা ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন।

আমাদের সংবিধানে নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্যহীনতার যে নিশ্চয়তা প্রদান করেছে তা বাস্তবায়ন করছে এবং এর জন্য সকল ধরনের পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। সেজন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনকে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। সমাজে নারী-পুরুষের  বৈষম্য কমিয়ে পরিবার ও সমাজে নারীর সম্মানজনক অবস্থান সুদৃঢ় করতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে লিঙ্গসমতা অর্জনও নারীর ক্ষমতায়নে গৃহীত বিভিন্ন নীতি ও কার্যক্রম চলমান অবস্থায় আছে। যেমন; জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, অতি দরিদ্র নারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টি, বিধবাও স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের ভাতা, প্রসূতি ও দুগ্ধ দানকারী নারীদের ভাতা, খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জামানতবিহীন ঋণ, পেশা উন্নয়ন ও তথ্য-প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ, নারী শিক্ষা উন্নয়নে ভাতা, নারীর বিরূদ্ধে সহিংসতারোধ ইত্যাদি।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button