বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের লেখক, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পীরা। কর্মসূচিতে লেখক, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিল্পী, রাজনৈতিক সংগঠক, নারী অধিকারকর্মী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ শহীদ মিনারে উপস্থিত নারী ও শিশুরা অংশগ্রহণ করেন।
‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডস উইথ প্যালেস্টাইন’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ‘আমরা গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আজ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের সঙ্গে সংহতি জানাতে দাঁড়িয়েছি। ফিলিস্তিনের মানুষের অসীম সাহস দেখে সারা বিশ্ব তাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে, আমরাও তার অংশীদার।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত গার্মেন্টর্স শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপ্রধান মোশরেফা মিশু বলেন, ‘ফিলিস্তিনের জনগণের সংগ্রাম দীর্ঘ কিন্তু তা কোনও দিন বৃথা যাবে না, বাংলাদেশের বিবেকবান জনগণ তাদের স্বাধীনতা-মুক্তির সংগ্রামে সবসময়ে সোচ্চার ছিল এবং থাকবে। একই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য পশ্চিমা রাষ্ট্র যারা ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধকে শুধু সমর্থনই না, প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করছে; আমরা তাদের ধিক্কার জানাই এবং বিচার চাই।’
রেহনুমা আহমেদ বলেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে আমরা নাড়ির টান অনুভব করি। কারণ, বাংলাদেশেও গণহত্যা হয়েছিল। সেই গণহত্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। ফিলিস্তিন এখনও পরাধীন। কিন্তু যেভাবে সমগ্র বিশ্বের মানুষ আজ গণহত্যার প্রতিবাদ-প্রতিরোধে নেমেছে, আমাদের বিশ্বাস এবার একটা ফয়সালা হবেই হবে। ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে। এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য শুধু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুই নয়, ইসরায়েলের গণহত্যার মদদদাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাজ্য ও ইইউর অনেক দেশের নেতাদেরও বিচার হবে।
ফিলিস্তিনের জনগণের সংগ্রাম দীর্ঘ। কিন্তু তা কোনোদিন বৃথা যাবে না। বাংলাদেশের বিবেকবান জনগণ তাদের স্বাধীনতা-মুক্তির সংগ্রামে সবসময়ে সোচ্চার ছিল এবং থাকবে।