জাতীয়

রাতারাতি পেঁয়াজের দাম বেড়ে ২২০ টাকা!

মোহনা অনলাইন

ভারত আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর বাংলাদেশে এর দাম রাতারাতি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আজ শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়, যা একদিন আগেই ছিল ১৪০ টাকা।

আমদানি করা বা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা, যা শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১২০-১৪০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য পাইকাররা দেশি পেঁয়াজ ছাড়ছেই না। কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজারেও ভোরে যে দাম ছিল, সকাল ৯টায় তা মণপ্রতি ৮০০-১০০০ টাকা বেড়ে গেছে। বিকেল নাগাদ বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে- এমন আশঙ্কা ক্রেতাদের।

মোহাম্মদপুর বাজারের ব্যবসায়ী সোহরাব মিয়া বলেন, ভোরে কারওয়ান বাজার থেকে বহু কষ্টে চার মণ পেঁয়াজ এনেছি। আমি পাইকারিতে কিনেছি ৭ হাজার টাকা মণ দরে। আনতে খরচ পড়ছে আরও ৫০০ টাকা। এখন ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি না বিক্রি করলে লোকসান হবে।

রাতের ব্যবধানে পেঁয়াজের এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারাও। বাজারে এসে অনেকে পেঁয়াজ না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেকে বাধ্য হয়েই গলাকাটা দামে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পেঁয়াজ।

মিরপুরের এক ক্রেতা বলেন, গতকাল দেশি পেঁয়াজ কিনলাম ১২০ টাকা করে। আজকে এসে দেখি সেটা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এক রাতের মধ্যেই বেড়ে গেল ১২০ টাকা।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রতিবেশী ভারত। ৮ ডিসেম্বর এ আদেশ জারি করে দেশটির সরকার। এদিন বিকেলে বাংলাদেশের বাজারে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর রাতেই দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ১৪০-১৫০ টাকা কেজিতে। তবে রাত পোহাতেই দাম আরও এক দফায় বেড়েছে।

জানা গেছে, ভারতের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে রপ্তানি বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)। তবে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য যদি কোনো দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানায়, তাহলে তা বিবেচনা করবে সংস্থাটি।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button