গাজার বৃহত্তম এবং ১৫০০ বছরের পুরনো আল-ওমারি মসজিদটি ইসরায়েলি বোমা হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ১‘০৪টি মসজিদ ধ্বংস করেছে। হামাস ইউনেস্কোকে ঐতিহ্য সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সপ্তম শতকে গাজা সিটির কেন্দ্রস্থলে নির্মিত হয় দ্য গ্রেট ওমারি মসজিদ। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমরের (রা.) নামে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছিল। দেড় হাজার বছরের পুরোনো মসজিদটি ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ঐতিহ্যবাহী এই ইসলামিক স্থাপত্যকে বাতিঘর হিসেবে বিশ্বাস করেন গাজাবাসী।
হামাস শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে যে তারা আল-ওমারি মসজিদ ছাড়াও গাজার ১০৪টি মসজিদ এবং তিনটি গির্জা ধ্বংস করেছে। অনেক ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের সংস্কৃতিমন্ত্রী আতিদ আবু সেফ বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় ঐতিহাসিক ভবন, মসজিদ, জাদুঘর এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান সহ গাজা শহরের বেশিরভাগ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে তাদের যোদ্ধাদের আড়াল করার জন্য মসজিদ, স্কুল এবং অন্যান্য বেসামরিক অবকাঠামো ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে।
গাজা উপত্যকা ৭ অক্টোবর থেকে প্রবল ইসরায়েলি অবরোধ ও বোমাবর্ষণের মধ্যে রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, দুই মাসেরও বেশি ইসরাইলি হামলায় ১৭,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৪৯ হাজার ফিলিস্তিনি।