এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের অভিযানে বাজারে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে আসলেও পুরোপুরি আসেনি। তবে পেঁয়াজের দাম সহসা কমে যাবে। এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম কমে যাবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ ছিল না। ভারত পেঁয়াজ মার্চ মাস পর্যন্ত রফতানি বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাওয়া আমাদের সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীর অসৎ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়। সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর থেকে দেশের বাজারে দাম নিয়ে ব্যাপক অস্থিরতা বিরাজ করছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে।
হঠাৎ করে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়া কোনোভাবেই সমীচীন নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এরইমধ্যে অভিযান শুরু করেছে। তারা জরিমানা করেছে। এতে বাজারে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এলেও পুরোপুরি আসেনি। যেকোনো কিছু হলেই দাম বাড়িয়ে দেওয়ার যে মানসিকতা এটির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমেও যদি রিপোর্টিং হয় তাহলে সেটি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। তবে পেঁয়াজের দাম সহসা কমে যাবে। কারণ এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করবে।
তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহে বেশিরভাগ দ্রব্যের মূল্য কমেছে। গরুর মাংস আমার এলাকায় ৫৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মাইকিং করে। যেটি কয়দিন আগেও সাড়ে সাতশ-আটশ টাকা ছিল। শাক-সবজি ও অন্যান্য পণ্যের দামও কমেছে। পেঁয়াজের দামটা হঠাৎ করে বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম যেভাবে লাফিয়ে বেড়েছে সে বিষয়ে আমি একমত।
ড. হাছান বলেন, ভোক্তাদের একটা ট্রেন্ড আছে কোনো পণ্যের সংকট হচ্ছে এমন গুজব রটালেও আমরা সবাই গিয়ে এক কেজির জায়গায় পাঁচ কেজি কেনা শুরু করি। এতে করে ব্যসায়ীরা আরো সুযোগ পায়। এটির ক্ষেত্রেও আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।