আট বছর ধরে পোল্যান্ডের শাসনক্ষমতায় রয়েছেন দেশটির রক্ষণশীলেরা। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি হলেও মধ্যপন্থী ডোনাল্ড টাস্কের নেতৃত্বাধীন জোট গত অক্টোবরের নির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্য পাওয়ায় পালাবদল হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) এর পর থেকে পরের তিন দিন পোল্যান্ডে ক্ষমতার পালাবদলে ঘটতে যাচ্ছে বেশ বড় কিছু। নির্বাচন প্রায় দুই মাস আগে শেষ হলেও ক্ষমতার পালাবদলে বিলম্ব হতে দেখা গেছে। পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা তাঁর রাজনৈতিক মিত্রদের যতটা বেশি সময় পারেন, ক্ষমতায় রাখতে চাইছেন।
মধ্য ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডের জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ। দেশটির ভোটারদের বড় একটি অংশই সরকার পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এরপরও কালক্ষেপণের ঘটনায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ভোটারদের মধ্যে।
পোল্যান্ডে ক্ষমতার এই পালাবদল ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বর্ষীয়ার রাজনীতিক ডোনাল্ড টাস্ক সাবেক ইইউ নেতা। তিনি ইউরোপীয় জোটের সঙ্গে পোল্যান্ডের সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী।
অন্যদিকে পোল্যান্ডের বিদায়ী সরকার একসময় ইউক্রেনের ও বেশ ঘনিষ্ঠ ছিল। ইউক্রেনে রুশ হামলার শুরুর পর আমরা কিয়েভের সঙ্গে ওয়ারশের ঘনিষ্ঠতা দেখেছি। খাদ্য উৎপাদনকারী ও ট্রাকচালকদের মধ্যকার অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা পোলিশদের ক্ষুব্ধ করে। এর জেরে খাদ্যশস্যের দাম বাড়ায় পোল্যান্ড-ইউক্রেনের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। এই তিক্ততা সীমান্তে অবরোধ ও বিক্ষোভ অবধি গড়িয়েছে। কাজেই ডোনাল্ড টাস্কের সামনে এটাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।