প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন।
গত ৬ ডিসেম্বর বিষয়টির শুনানি নিয়ে আজ রায়ের দিন ধার্য করেছিল সর্বোচ্চ আদালত। আজ রায়ের তারিখ পিছিয়ে আদেশ দেয়া হয়।
আদালতে বিচারক সোহেল রানার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট প্রবীর নিয়োগী ও শাহ মঞ্জুরুল হক।
২০১৭ সালের ২৭ মার্চ কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামুন চৌধুরী ও রিয়া আক্তার দম্পতির বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। মামলাটির কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে তারা হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। কিন্তু স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও কুমিল্লার তৎকালীন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা গত ১০ এপ্রিল মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বিচার কাজ পরিচালনার বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মামুন।
গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট সোহেল রানাকে তলব করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গত ২১ আগস্ট হাজির হতে বলেন। ধার্য তারিখে সোহেল রানা হাইকোর্টে হাজির হন এবং পরে জবাব দাখিল করেন। দাখিল করা জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ২৮ আগস্ট সোহেল রানার প্রতি স্বপ্রণোদিত আদালত অবমাননার রুল দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়। আদালত অবমাননার রুলের পর গত ৩১ আগস্ট সোহেল রানা মামলাটির অভিযোগ গঠনের আদেশ প্রত্যাহার করে নেন। বর্তমানে তিনি আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত।
আদালত অবমাননার রুলের পরিপ্রেক্ষিতে সোহেল রানা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে তার ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ না করে হাইকোর্ট কারাদ-ের আদেশ দেন। আদেশে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
একইসঙ্গে এই বিচারককে সাত দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়। তবে এই আদেশের পর একইদিন ওই বিচারক জামিন চেয়ে আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাকে আপিলের শর্তে ৩০ দিনের জামিন দিয়েছেন। এরপর ওইদিন বিকেলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন সোহেল রানা। আবেদনের পর চেম্বার কোর্ট হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন বিচারক সোহেল রানা। আপিলে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। গত ৬ ডিসেম্বর আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।