অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ ও তীব্র শীতের মধ্যে ভারী বৃষ্টি ও বন্যা মরার ওপর খাড়ার ঘা হিসেবে ঠেকেছে। বুধবারের (১৩ ডিসেম্বর) টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় নাজেহাল বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা। বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ভিজে গেছে কাপড়ের তাবু। এরইমধ্যে ক্ষুধা ও অনাহারে গুটিসুটি মেরে বসে আছেন অসহায় বাসিন্দারা।
ইসরাইলের অবিরাম হামলায় বাস্তুচ্যুত ১৯ লাখ গাজাবাসী ভারি বৃষ্টিপাত এবং প্রচণ্ড ঠান্ডায় অসহনীয় দুর্ভোগে জীবন পার করছেন। বৃষ্টির কারণে গাজার দক্ষিণাঞ্চল আল-মাওয়াসি এলাকায় আশ্রয় নেয়া লোকজন ভয়ানক দুর্দশার শিকার। সেখানের আশ্রয়শিবিরে পর্যাপ্ত মৌলিক সুযোগ–সুবিধা নেই।
ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় উত্তর গাজার জাবালিয়ায়, জরুরি উদ্ধারকারী দলগুলোর উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি আবু রশিদ পানির পাম্পে ইসরাইলি বিমান হামলায় ময়লা–আবর্জনা ও ধ্বংসাবশেষ রাস্তায় পানির সঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বুধবার জেনেভায় গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামের ভাষণে জাতিসংঘের ইউএনআরডাব্লিউএর প্রধান প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, যুদ্ধের কারণে গাজার জনগণের ‘সময় ও বিকল্প ফুরিয়ে যাচ্ছে’। তারা (ফিলিস্তিনিরা) একটি সংকুচিত জায়গায় বোমাবর্ষণ, বঞ্চনা ও রোগের সম্মুখীন হচ্ছে।