দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর)। রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করে প্রার্থীরা তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। এরপর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে। আগামীকাল সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের নামে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এরপর শুরু হবে নির্বাচনী প্রচার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসাররা ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। বৈধ প্রার্থী ছিল এক হাজার ৯৮৫ জন
আপিলে বৈধ ঘোষিত পাঁচটি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে এবং ২৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আপিল শুনানি শেষে মোট প্রার্থী দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৬০ জন। তবে এটিই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়। আপিলে ইসির দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, হাইকোর্টে দুটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। সেখানে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। এতে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে আপিল নিষ্পত্তি হওয়া প্রার্থীদের সার্টিফায়েড কপি দেওয়া শুরু হয়েছে। কক্সবাজার-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ ও বরিশাল-৫ আসনের সাদিক আব্দুল্লাহর আইনজীবী এর মধ্যে সার্টিফায়েড কপি সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।
সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাড়া সব সরঞ্জাম মাঠ পর্যায়ে পাঠানো শেষ করেছে ইসি। সর্বশেষ গতকাল ৯ ধরনের সরঞ্জাম সারা দেশে পাঠানো হয়। এর মধ্যে অমোচনীয় কালি, বিভিন্ন ধরনের ফরম ও প্যাকেট, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা এবং গাড়ির স্টিকার পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বরে ব্যালট বাক্স, ব্যালট বাক্সের ঢাকনা ও লক, বিভিন্ন ধরনের সিল, স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, কাগজ, প্যাড, রশিসহ অন্যান্য সামগ্রী পাঠানো হয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ব্যালট পেপার ছাপার কাজ শুরু হবে, যা ভোটগ্রহণের আগের দিন ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।