বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস আজ। দিবসটি উপলক্ষে বিজিবির পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সীমান্তের সার্বিক সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী-শিশু ও মাদক পাচার রোধে বিজিবি সদস্যরা নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন।
বাণীতে তিনি আরও বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ যেকোনো জাতীয় সংকট ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে। বিজিবি সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে এ অগ্রযাত্রায় শামিল হবেন- এ প্রত্যাশা করছি। বিজিবির অব্যাহত সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপ্রধান।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানসহ অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশের যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং দেশ গঠন ও বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। সাম্প্রতিককালে রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজার, নিউমার্কেট ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান, উদ্ধার তৎপরতা ও আশপাশের এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।
তিনি বলেন, আমি আশা করি, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখার পাশাপাশি দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে এ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সততা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকভাবে পালন করবেন।
এছাড়া বিজিবি দিবস উপলক্ষে ওইদিন দুপুরে প্রীতিভোজ এবং সন্ধ্যায় পিলখানাস্থ ঢাকা সেক্টর মাঠে বিজিবির নিজস্ব অর্কেস্ট্রা ও শিল্পীসহ দেশের বরেণ্য শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বিজিবি দিবস উদযাপন উপলক্ষে পিলখানা ছাড়াও ঢাকার বাহিরে বিজিবির সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিট পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন, মিলাদ ও বিশেষ দোয়া, প্রীতিভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।