সাংবিধানিক বিদ্রোহের জের ধরে আগামী বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে কলোরাডোর সর্বোচ্চ আদালত। এতে ওই রাজ্যে প্রাথমিকভাবে ভোটে অংশ নিতে পারবেন না ট্রাম্প। তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্য ঘোষিত হলেন।
গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ক্যাপিটল হিলে তার উস্কানিতে দাঙ্গা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে একজন পর্নো তারকাকে অর্থ দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। আছে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। নানাবিধ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিচার চলমান।
অনলাইন বিবিসি বলছে, মঙ্গলবার কলোরাডোর সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ৪-৩ ভোটের ব্যবধানে ট্রাম্পকে অযোগ্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। অর্থাৎ তাকে অযোগ্য ঘোষণার পক্ষে আছেন ৪ জন বিচারক। বিপক্ষে আছেন ৩ জন। একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর ধারা ৩-এর এটাই প্রথম ব্যবহার। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অন্য রাজ্যগুলোতে এমনতরো মামলা আছে। তবে এখন পর্যন্ত তাকে ওইসব রাজ্যে নির্বাচন থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়নি। কলোরাডো সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার যে আদেশ দিয়েছে তা এ রাজ্যের বাইরে প্রযোজ্য নয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে আগামী মাস পর্যন্ত।