গত ১৫ বছরে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ডিজিটাল পরিষেবা সম্প্রসারণ এবং আবাসন সুবিধা বৃদ্ধির সাথে সাথে ১৫টি নতুন বিভাগ, ৩০টি গবেষণা কেন্দ্র এবং একটি ইনস্টিটিউট চালু করাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
আবাসিক ভবন নির্মাণ করে ৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য নতুন বসবাসের সুবিধা এবং ৪০০ শিক্ষক ও ৭০০ কর্মচারীর জন্য আবাসন সুবিধা তৈরি করা হয়েছে।
ঢাবি, দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়- যা পূর্বে এর কাঠামোর জন্য প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসাবে খ্যাত হয়েছিল, এটি ১৯২১ সালে তিনটি অনুষদ, ১২টি বিভাগ এবং তিনটি ডরমিটরি নিয়ে যাত্রা শুরু করে এবং এখন এর ৮৪টি বিভাগ, ১৩টি অনুষদ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ১৯টি আবাসিক হল এবং অন্তত ৫১টি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।
এর মধ্যে গত ১৫ বছরে ১৫টি বিভাগ, একটি ইনস্টিটিউট, দুটি আবাসিক হল, ৩০টি গবেষণা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আবাসনের সুবিধার্থে, দুটি আবাসিক হল-বিজয় ৭১ হল (২০১৩), কবি সুফিয়া কামাল হল (২০০১) ছাত্রদের জন্য নির্মিত হয়েছে – প্রতিটি ১০০০ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এবং তিনটি সম্প্রসারিত বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে – রোকেয়া হলে ১০০০ ছাত্রীর জন্য ১১ তলা বিশিষ্ট ৭ মার্চ ভবন, ১০০০ ছাত্রের জন্য ১০ তলা বিশিষ্ট জগন্নাথ হলে সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য্য ভবন এবং ১০০০ ছাত্রের জন্য বঙ্গবন্ধু হল ১১ তলা সম্প্রসারিত ভবন।
এছাড়া, শিক্ষার্থীদের থাকার সুবিধার্থে রোকেয়া হল এক্সটেনশন বিল্ডিং নং-২ এবং এফএইচ হল বিল্ডিংসহ কয়েকটি ডরমেটরি ভবন উপরের দিকে সম্প্রসারিত করা হয়েছে
শিক্ষকদের আবাসন সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে- যার মধ্যে রয়েছে মুনীর চৌধুরী ভবন, প্রভোস্ট কমপ্লেক্স, ১২ তলা বিশিষ্ট ৭ মার্চ রোকেয়া হলের হাউস টিউটর বিল্ডিং, জগন্নাথ হলের শিক্ষকদের জন্য আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ ১২ তলা ভবন, বঙ্গবন্ধু হলের হাউস টিউটরদের জন্য আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ ১১ তলা ভবন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসন সুবিধার উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে কর্মকর্তাদের জন্য ২০ তলা শেখ রাসেল টাওয়ার, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ১২ তলা শেখ কামাল টাওয়ার, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ২০ তলা বঙ্গবন্ধু টাওয়ার, আজিমপুর এবং শহীদ আবদুল খায়ের ভবনে কর্মচারীদের জন্য ১০ তলা আবাসিক ভবন। একাডেমিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাযয়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের জন্য ২১ তলা বিল্ডিং, ১২ তলা সোশাল সায়েন্স ফ্যাকাল্টি ভবন, ১১ তলা বিশিষ্ট বিজ্ঞান ভবনে উন্নত গবেষণা কেন্দ্র, মোকাররম হোসেন খুন্দকার বিজ্ঞান ভবন এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের জন্য পৃথক ভবন। শিক্ষকদের জন্য আবাসন সুবিধা বৃদ্ধির জন্য, বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে -যার মধ্যে রয়েছে মুনীর চৌধুরী ভবন, প্রভোস্ট কমপ্লেক্স, ১২ তলা বিশিষ্ট ৭ মার্চ রোকেয়া হলের হাউস টিউটর বিল্ডিং, জগন্নাথ হলের শিক্ষকদের জন্য আনুষঙ্গিক সুবিধা সহ ১২ তলা ভবন, ১১ তলা ভবন। বঙ্গবন্ধু হলের হাউস টিউটরদের জন্য আনুষঙ্গিক সুবিধা সহ। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসন সুবিধার উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে কর্মকর্তাদের জন্য ২০ তলা শেখ রাসেল টাওয়ার, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ১২ তলা শেখ কামাল টাওয়ার, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ২০ তলা বঙ্গবন্ধু টাওয়ার, আজিমপুর এবং শহীদ আবদুল খায়ের ভবনে কর্মচারীদের জন্য ১০ তলা আবাসিক ভবন। একাডেমিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের জন্য ২১ তলা বিল্ডিং, ১২ তলা সোশ্যাল সায়েন্স ফ্যাকাল্টি ভবন, ১১ তলা বিশিষ্ট বিজ্ঞান ভবনে উন্নত গবেষণা কেন্দ্র, মোকাররম হোসেন খুন্দকার বিজ্ঞান ভবন এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের জন্য পৃথক ভবন।
এছাড়া কিছু একাডেমিক ভবন উল্লম্বভাবে সম্প্রসারিত করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে কলা ভবন, বিজ্ঞান অ্যানেক্স ভবন, চারুকলা অনুষদের লেকচার থিয়েটার ভবন, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি ভবন, ফিশারিজ স্টাডিজ বিভাগের ভবন সম্প্রসারণ এবং ভূতত্ত¦ বিভাগের জন্য সম্প্রসারিত ফ্লোর।
গত ১৫ বছরে চালু করা বিভাগগুলো হল: সঙ্গীত (২০০৯), নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং (২০১০), শিক্ষা ও পরামর্শ বিভাগ (২০১১), টেলিভিশন, চলচ্চিত্র এবং ফটোগ্রাফি (২০১২), অপরাধবিদ্যা (২০১২), সমুদ্রবিদ্যা (২০১২), দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা (২০১২), নৃত্য (২০১৪), ফলিত গণিত (২০১৪), মুদ্রণ এবং প্রকাশনা অধ্যয়ন (২০১৫), রোবোটিক্স (২০১৫), সংস্থা, কৌশল এবং নেতৃত্ব (২০১৬), আবহাওয়াবিদ্যা (২০১৬), জাপানিজ স্টাডিজ (২০১৭) , তাত্ব্কি এবং কম্পিউটেশনাল কেমিস্ট্রি (২০১৭), জনস্বাস্থ্য (২০২৩)।
এই সময়ের মধ্যে ‘ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ’ নামে একটি ইনস্টিটিউট খোলা হয়েছে। তাছাড়া, অন্তত ৩০টি গবেষণা কেন্দ্রও চালু হয়েছে এই সময়ের মধ্যে।
এছাড়াও, সান্ধ্যকালীন কোর্স পরিচালনার উদ্যোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে, ৩৫টি বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট সান্ধ্য কোর্স পরিচালনা করছে যেখানে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বাইরে, ৭,০০০-এর বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হচ্ছে। আর তাদের ক্লাস পরিচালনা করেন ৭২৫ জন শিক্ষক।
ঢাবি আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর আসিফ হোসেন খান বলেন, গত ১৫ বছরে, অ্যাকাউন্ট অটোমেশন, ভর্তি ও পরীক্ষা প্রক্রিয়াকরণ, বৃত্তি, ট্রান্সক্রিপ্ট এবং মার্কশিট, কর্মচারীদের জন্য বাড়তি বরাদ্দের মতো অটোমেশন প্রোগ্রামগুলোর একটি সিরিজ চালু করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে আরও কিছু উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য একাধিক সুবিধাসহ স্মার্ট কার্ড প্রদান, ৫.৫ হাজার শিক্ষার্থীকে ইমেল প্রদান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপস ডেভেলপ করা এবং যেকোন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমে কোনো বাধা এড়াতে “ডিইউবিডিএলএমএস শিরোনামের “লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম” সফ্টওয়্যার তৈরি করা।