শীতের সকালে রোদে বসার আরামই আলাদা। বাতের ব্যথা কমাতে এই পদ্ধতি অনেক কার্যকর। বর্তমান সময়ে এই চিত্র বদলে গেছে অনেকটাই। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে এমন দৃশ্য খুবই কম দেখা যায়। কিন্তু শীতের সকালে গায়ে রোদ মাখানো শরীরের জন্য অনেক উপকারি।
আমাদের শরীরে সব রকম ভিটামিনেরই প্রয়োজন রয়েছে। তবে ভিটামিন ডি এর অভাব হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। আবার অনেকে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে এই ভিটামিন ডি গ্রহণের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো শরীরে রোদ লাগানো। সূর্য হলো ভিটামিন ডির প্রাকৃতিক উৎস সেটা আমরা সবাই জানি। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে যে সময়টা, সেই সময়ের রোদে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত ভিটামিন ’ডি’।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, হরমোনের ক্ষরণ এবং উৎপাদনের পেছনেও রোদ এবং অন্ধকারের আলাদা আলাদা ভূমিকা রয়েছে। পর্যাপ্ত রোদ গায়ে না লাগলে ‘সেরোটোনিন’ হরমোনের মাত্রা হ্রাস পায়। যা মানসিক চাপ, অবসাদের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। অনিদ্রাজনিত সমস্যাতেও হরমোনের প্রভাব রয়েছে।
শীতকালীন অবসাদ বেড়ে যাওয়ার পেছনেও রোদের ভূমিকা রয়েছে। রেটিনার মাধ্যমে সূর্যালোক শরীরে প্রবেশ করে। মস্তিষ্ক সেই সঙ্কেত পেলে ‘সেরোটোনিন’ হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে।
শরীরে রোদের যেসব ভূমিকা রয়েছে তা হলো-
১.শরীরে রোদ লাগানোর কারণে ঘুম না আসার সমস্যাও কমে যায়। একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মেলাটোনিন শরীরে ঘুমের পরিমাণ বাড়ায় । একই সাথে শরীরে অবসাদ কমায়।
২. বয়োস্কদের বাতের ব্যথার ওষুধ এই সূর্যের আলো।
৩. স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। এটা আমাদের মন ভাল রাখার অন্যতম মাধ্যম। এতে উৎপন্ন সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
৫.রোদ পোহালে হজমের উন্নতি হয়।হজমের সমস্যা হলে নিয়মিত খোলা রোদের বিকল্প নেই। কিছুক্ষণ নিজেকে মেলে ধরতে পারলে হজমক্ষমতা বাড়বে।