আজ জাতীয় সমাজসেবা দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমাজসেবার উদ্ভাবন, এবার সেবায় ডিজিটাইজেশন’। এ লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, দুস্থদের মাঝে ঋণ বিতরণ এবং শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২২ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে এ বছরের জাতীয় সমাজসেবা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সকল ভাতা’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
১৯৯৯ সালে ২ জানুয়ারিকে ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সরকার। সামাজিক সেবার পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসমূহকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে দুস্থ ও অসহায় মানুষের সেবা নিশ্চিতকল্পে কল্যাণধর্মী বিভিন্ন কর্মসূচির প্রবর্তন করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, (১৯৯৬-২০০১) ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার বয়স্ক ভাতাসহ অন্যান্য ভাতার প্রচলন করে। প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সব খাতে বরাদ্দ ও উপকারভোগীর সংখ্যা উভয়ই বৃদ্ধি করা হয়। গণমানুষের কল্যাণে প্রয়োজনীয় এসব কর্মসূচি আমরা আগামীতেও অব্যাহত রাখব। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই দেশের দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে।
বিশেষ অতিথি আছেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এতে সভাপতিত্ব করবেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহফুজা আখতার। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।