ক্রিকেট মাঠের পর এবার রাজনীতিতেও বড় বাউন্ডারি হাঁকালেন সাকিব আল হাসান। প্রথমবার রাজনীতিতে নেমেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের দেখা পেয়েছেন এই টাইগার অলরাউন্ডার। মাগুরা-১ আসন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে জয় পেয়েছেন সাকিব। বড় ব্যবধানেই জয়ের দেখা পেয়েছেন তিনি।
সাকিবের এমন বিজয়ে মাগুরা আর ক্রিকেট ভক্তদের মত উল্লাসিত তার স্ত্রী উম্মে শিশির আল হাসান। অতীতেও স্বামী সাকিবের নানা উত্থান-পতনে নিজের উপস্থিতি ফেসবুকের মাধ্যমে জানান দিয়েছেন তিনি। ব্যতিক্রম হল না জাতীয় নির্বাচনের পরেও। ফেসবুকে শিশির লিখেছেন ‘আমার সমর্থন সবসময় তোমার পাশে ছিল।’
ফেসবুক স্ট্যাটাসে অভিনন্দন জানিয়ে শিশির লিখেছেন, ‘একটা নতুন শুরুর জন্য তোমাকে অভিনন্দন প্রিয় স্বামী। তুমি জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই বিজয়ী হয়েছিলে। যদিও আমি সেখানে ছিলাম না তবে আমার সমর্থন সবসময় তোমার পাশে ছিল। মাগুরার লোকদের অসংখ্য ধন্যবাদ নিজেদের ঘরের ছেলেকে এতটা ভালোবাসা এবং সম্মান দিয়ে বরণ করার জন্য।’
উল্লেখ্য, সাকিবের স্ত্রী শিশির এবং তার তিন সন্তান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে সাকিব পুরো সময় কাটিয়েছেন নিজ শহর মাগুরায়।রোববার ওই আসনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন সাকিব।
মাগুরা-১ আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে ছিলেন চারজন। তারা হলেন– বাংলাদেশ কংগ্রেসের কাজী রেজাউল হোসেন, জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) কে এম মোতাসিম বিল্লা ও তৃণমূল বিএনপির সনজয় কুমার রায়। কিন্তু সাকিবের ঘূর্ণিতে এই চারজনের কেউ কূলকিনারা পাননি। একাই চার উইকেট তুলে নেন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিতে আসা এই প্রার্থী! জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মাগুরা-১ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৮৬২ জন, আর নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬২১। ভোটকেন্দ্র ১৫২টি। যেখানে সাকিবের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডাব মার্কার কাজী রেজাউল হোসেন পান মাত্র ৫ হাজার ৯৭৩ ভোট।