প্রবৃদ্ধিও চেয়ে ‘গ্রস ন্যাশনাল হ্যাপিনেস’কে অগ্রাধিকার দেয়ার দীর্ঘস্থায়ী নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দলগুলো গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার অঙ্গীকার নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে।
ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী উভয় দলই সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত দর্শনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এমন একটি সরকারের অঙ্গীকার করে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে যা ‘জনগণের সুখ এবং মঙ্গলের’ মাধ্যমে তার সাফল্য পরিমাপ করে।
সুইজারল্যান্ডের মতো ভূমিবেষ্টিত পার্বত্য দেশটিতে জনগণ ভোট দেয়ার প্রতীক্ষা করছে, ভুটানের জনসংখ্যা প্রায় ৮ লাখ।
এএফপির একজন সাংবাদিক বলেছেন, ভোরের হিমায়িত পাহাড়ি বাতাসে, রাজধানী থিম্পুতে ভোট শুরু হওয়ার সাথে সাথে মাত্র কয়েকজন ভোটার লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।
বুথগুলো বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে, ভোটের ফলাফল পরের দিন ঘোষণা করা হতে পারে।
ভোট প্রার্থীদেরকে দীর্ঘস্থায়ী যুব বেকারত্ব এবং ব্রেন ড্রেনসহ দেশটির তরুণ প্রজন্মের অনেক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে।
বিশ্বব্যাংকের মতে, ভুটানের যুব বেকারত্বের হার ২৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গত পাঁচ বছরে গড়ে ১.৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
বিদেশে উন্নত আর্থিক এবং শিক্ষার সুযোগ সন্ধানকারী তরুণ নাগরিকরা গত নির্বাচনের পর থেকে রেকর্ড সংখ্যায় দেশ থেকে চলে গেছে, অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রধান গন্তব্য।
গত জুলাইয়ের আগে ১২ মাসে প্রায় ১৫,০০০ ভুটানিকে সেখানে ভিসা দেওয়া হয়েছে, একটি স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে আগের ছয় বছরের মিলিত সংখ্যার তুলনায় এই সংখ্যা বেশি এবং এই সংখ্যা জনসংখ্যার প্রায় দুই শতাংশ।
ভুটানে মঙ্গলবার সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে।