সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দেশি-বিদেশি চাপ নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তিনি বারে বারে বলেছেন, চাপ বিদেশ থেকে আছে, দেশে তো আছেই। কিন্তু আমরা সেই চাপ অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখি, সাহস রাখি, সামর্থ্য রাখি। আমাদের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক মাটি আর মানুষের সঙ্গে। মাটি আর মানুষের সঙ্গে যে দলের, যে সরকারের সম্পর্ক সেই দল কোন বিদেশি চাপ বা দেশি চাপ, কোন চাপের কাছেই নতিস্বীকার করে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। পথে পথে বাধা ছিল। সেটা আমরা অতিক্রম করেছি। আমরা অতিক্রম করেছি নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতি। নির্বাচন তো হয়েই গেছে। অনেকে ভেবেছে নির্বাচন আমরা করতে পারব না। তাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে গেছে। আমাদের স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়িত করেছি। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ আসবে আমরা জানি। বিদেশি চাপ থাকবে, আমাদের অর্থনীতিকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রও আছে। এগুলোকে ভয় পেলে চলবে না। সাহস রাখতে হবে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা যখন পদ্মাসেতু কাজ শুরু করেছিলাম তখন কেউ ভাবেনি এটা শেষ করা সম্ভব হবে। বিশ্বব্যাংকও পাশে ছিল না। কিন্তু আমরা পদ্মাসেতু করতে পেরেছি। মেট্রোরেল দিয়ে যে এ শহর সমৃদ্ধ হবে এ কথাও কেউ ভাবেনি। কিন্তু সেটাও শেখ হাসিনার সরকার উপহার দিয়েছে। আমাদের অনেক কাজ আছে সামনে, অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তবে এখনো আমরা সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা আনতে পারিনি। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একযোগে আমরা একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এটা করতে পারলে রোড সেফটি নিশ্চিত হবে। আজ অনেক রাস্তা হচ্ছে। রাস্তাগুলো স্মার্ট করতে হবে। এ বিষয়গুলোও আমরা দেখবো। অনেক সড়কের নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে।
বিরোধীদলের প্রতি বার্তা দিতে চান কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, এ দেশটা সকলের। দেশ যে শুধু আওয়ামী লীগের সেটা তো বলতে পারি না। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চায় আসতে হবে। আমরা চিরজীবন ক্ষমতায় থাকবো না। একটা দল চিরজীবন ক্ষমতায় থাকেও না। এ দেশের সকল সম্পদ জনগণের। বিরোধীদলের যারা আছেন তারাও এ সম্পদের অংশীদার। কাজেই উন্নয়ের যে যাত্রা শুরু হয়েছে সেটা ২০৪১ সাল অবধি আমাদের ভিশনে নিয়ে যেতে হবে।