চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে দেড়শ কোটি টাকা সরিষার উৎপাদন করছেন চাষীরা
আশিষ পোদ্দার বিমান, ফরিদপুর
বতর্মানে সরিষার তেলে চাহিদা বেড়ে যাওয়া আর স্বল্প খরচে ও অল্প সময়ে ভাল ফলন হওয়ায় কৃষিকের
আগ্রহ বেড়েছে সরিষা চাষে। এছাড়া সয়াবিন তেলের বিকল্প হিসাবে দেশে উৎপাদিত ভোজ্য তেল
সরিষার তেলের ব্যবহার বাড়ায় বেড়েছে আবাদ। একারণে গতবছরের তুলনায় কয়েক হাজার হেক্টর
বেশি জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ করেছে ফরিদপুরের কৃষকেরা।
দেশীয় বাজারের ভোজ্য তেলের দর বৃদ্ধিতে এবার ফরিদপুরে বেড়েছে ফরিদপুরে সরিষার চাষ।রবি মৌসুমের ফসল হিসাবে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে সরিষা চাষে। জেলার নয়টি উপজেলার প্রায় প্রতিটি মাঠেই এবার আবাদ বেড়েছে সরিষার। সার, ওষুধ, পানি ও অল্প পরিচর্যায় এবং সরকারি
প্রনোদনা পাওয়ায় দিন দিন সরিষা আবাদে ঝুকছে চাষীরা। জেলার নথচ্যানেল, ডিক্রিরচর,
গোলডাঙ্গীচরসহ বিভিন্ন মাঠে এক অপরূপ শোভা ছড়াছে সরিষা ফুলে।
কোন জাত দুই আবার কোনটা তিন থেকে চার ফুট উচু সরিষা গাছ এখন ফুল ফুটেছে। হলুদ ফুলে
ফুলে ভড়ে উঠেছে মাঠ। বাতাসে দোল খাচ্ছে ফুলে ভরা সরিষার গাছ। বারি-১৪, ১৫, ১৬, ১৭, বিনা-
৪,৮,৯সহ টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করেছে চাষীরা। ভোজ্য তেল হিসাবে খাটি সরিষার তেলের চাহিদা
বেড়েছে অনেক। উচ্চ ফলনশীল জাত হওয়া ফলও ভাল হওয়ার আশা চাষীদের।
বোর ধান রোপনের আগেই কম সময়ে একটি বাড়তি ফসল আবাদ করতে কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিয়ে
থাকে। আবহাওয়া ভাল থাকলে সরিষার বীজ বোপনের মাত্র ৮০-৯০ দিনের মধ্যে সরিষা গাছ তুলে
ফেলা যায়। বিঘা প্রতি সরিষা চাষে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। বৈরী আবহাওয়া না
হলে এই ফসলের ফলন বিঘা প্রতি ৬-৭ মণ সরিষা বীজ পাওয়া যায়।
অল্পখরচে ভাল লাভ হওয়ায় বেশি ক্ষেতে সরিষার চাষ করা হয়েছে বলে জানান জেলার
চাষীরা।
গত মৌসুমের তুলনায় ফরিদপুরে এবছর ২হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার
আবাদ হয়েছে। যা থেকে উৎপাদন হবে ৫ লক্ষ ৪ হাজার ৬২৮ মন। জেলার চাষীরা যেখানে
দুই ফসল ফলাতো, সেখান এখন তিন ফসল চাষাবাদ করছেন ।এতে তারা বাড়তি লাভের
মুখ দেখছেন বলে জানালেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ