নারী হয়েও পুরুষের ছদ্মবেশ নিয়ে বিয়ে করতেন আরেক নারীকে। এরপর তাদের ‘বিদেশে বিক্রি’ করে দেন। আর এই অভিযোগেই নার্গিস নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তান পুলিশ। আলোচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক এক মেয়েকে – পুরুষের ছদ্মবেশে – আজাদ জম্মু ও কাশ্মিরের (এজেকে) মিরপুর শহরে স্থানীয় মেয়েদের বিয়ের নামে বিদেশে বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে।
জানা যায়, অভিযুক্ত ওই নারীর নাম নার্গিস। ভুক্তভোগী এক মেয়ের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নার্গিস নামের ওই বিদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে। পুরুষের ছদ্মবেশে থাকা ওই নারী নিজেকে শাবান বলে পরিচয় দিচ্ছিল। তবে পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এই নারী একটি আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের সদস্য।
স্থানীয় পুলিশ আরো জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এই নারী একটি আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশ জানতে পারে, পুরুষের ছদ্মবেশ নিয়ে নার্গিস বিয়ের জন্য প্রায়ই আজাদ কাশ্মীরে আসতেন। পরে কোনও মেয়েকে বিয়ে করার পর সন্দেহভাজন এই নারী তার ভ্রমণ বিষয়ক নথিপত্র তৈরি করত এবং বিদেশে বিক্রি করে দিতো।
নার্গিসের প্রতারণামূলক পরিকল্পনার শিকার হওয়া এক মেয়ের বাবা পুলিশকে বলেছেন, সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি তার মেয়ের সাথে বিয়ে করেছিল। পরে সন্দেহভাজন তাকে দুবাই হয়ে ফ্রান্সে নিয়ে যায়। পরে পরিবার জানতে পারে, তাদের মেয়ের জামাই আসলে একজন নারী।
ভুক্তভোগী ওই মেয়ের বাবা আরও বলেন, মানব পাচারকারী চক্র তার মেয়েকে নির্যাতন এবং বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করার চেষ্টা করে। যদিও পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে বের করে ফ্রান্সের একটি নিরাপদ স্থানে তাকে স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছে।