দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির পরও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। রাজধানীর আবাসিক এলাকায় প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত একেবারেই গ্যাস মিলছে না। অনেক এলাকায় রাত ১২টার দিকে এসে আবার ভোরেই চলে যায় গ্যাস। আগামী দুয়েক দিনের মধ্যেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্যাস সংকট কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার (২১ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের সকল গ্রাহককেই প্রিপেইড গ্যাস মিটার আওতায় আনা হবে। এরপর থেকেই নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
বাসা বাড়িতে এখন এলপিজি গ্যাস সরবরাহের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এলপিজি গ্যাসের দামও অনেকটা কমে গেছে তুলনামূলকভাবে। শিল্পকল কারখানায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস দেয়ার গুরুত্ব বেশি থাকবে। বাসা বাড়িতে এলপিজি গ্যাস দেয়ার লক্ষ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।
গ্যাসের দাম বাড়বে এমন গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, এখন থেকে নিজস্ব গ্যাস আহরণে আশাবাদী সরকার। বাসা বাড়ির গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে না। গ্যাসের দাম বাড়বে বলে গুজবে কান না দেওয়াই ভালো। গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় সারাদেশে গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করায় গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা।
ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়েছে, মহেশখালীস্থ এলএনজি এফএসআরইউ’র কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম এলাকায় সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় শীতের কারণে গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করছে। এতে সাময়িকভাবে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে দেশের কিছু অঞ্চলে হয়তো লোডশেডিং হতে পারে। বার্তায় আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে দ্রুত মেরামতের লক্ষ্যে কাজ চলছে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা এবং কোম্পানিগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।
দেশীয় গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। সম্মানিত গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।