গ্লোবাল নায়কের বিপরীতে লোকাল নায়করা কাঙ্ক্ষিত হল না পেয়ে মুখবুজে সয়ে যাওয়া এক রকম নিয়মে দাঁড়িয়েছে। সেই নিয়মটা সম্ভবত এবারই সাংগঠনিকভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ। যেখানে দেখানো হলো ভাষার মাসে ভিনভাষী সিনেমা না মুক্তির আবেগ! বিপরীতে ফাঁকা মাঠ পেয়ে যান নায়ক আরজু ও তার সিনেমা ‘রুখে দাঁড়াও’।
ভাষার জালে আটকে আমদানিকারক অনন্য মামুন বলিউডের ‘ফাইটার’ মুক্তির সব চূড়ান্ত করেও আগের দিন (২৫ জানুয়ারি) বিকালে সেটি মুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হন। দেশে দেড় শতাধিক স্বাভাবিক সিনেমা হল থাকলেও মাত্র ১৯টি হলে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) মুক্তি পেয়েছেন আরজু। যার মাধ্যমে টানা ৫ বছর পর প্রেক্ষাগৃহে ফিরছেন ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’ নায়ক।
হৃতিককে হটিয়ে সুযোগটা কাজে লাগালেন না কেন! জবাবে আরজু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘আমরা আসলে সুযোগটাই পাইনি। কাজে লাগাবো কিভাবে? ‘ফাইটার’ আসবে বলেই আমরা আসলে অনেক চেষ্টা করেও ১৯টার বেশি হল পাইনি। এখানে তো আর যুদ্ধ করার সুযোগ নেই। প্রশ্ন হলো, ছবিটা যে আসবে না, সেটা যদি আমরা বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরেও জানতে পারতাম, তাহলে আরও ২০/২৫টা হল আমাদের বাড়তো। ওরা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে সন্ধ্যা ৭টায়। যখন আমাদের আর নতুন হল যোগ করার সুযোগ ছিলো না। আমি মনে করি, ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি করলো ওরা (‘ফাইটার’ আমদানিকারকরা)।’’
ঢালিউডের তরুণ নায়ক কায়েস আরজু। বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে সম্ভাবনার প্রদীপ জ্বালিয়েছেন। সবশেষ তাকে বড় পর্দায় দেখা গেছে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সে সময় মুক্তি পায় তার অভিনীত ছবি ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’। যেখানে আরজুর নায়িকা পরীমণি।
এরপর করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন জটিলতায় গত পাঁচ বছরে আরজুর কোনও সিনেমা মুক্তি পায়নি। সেই বিরতি ভাঙলো আজ (২৬ জানুয়ারি), ‘রুখে দাঁড়াও’ মুক্তির মধ্য দিয়ে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সুকুমার চন্দ্র দাশ। এর কাহিনি, চিত্রনাট্য ও গান রচনা করেছেন দেবাশীষ সরকার। প্রযোজনায় মোহনা মুভিজ।