বাজার নিয়ন্ত্রণে বরগুনায় অভিযান করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সকাল ১০টায় সদরের আলিয়া মাদ্রাসা সড়কে চাল এবং ভোজ্য তেলসহ নিত্যপণ্যের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। জেলার মাদ্রাসা সড়ক ও কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে চালের আড়তে বাজার তদারকি করে।
এসময় মহাপরিচালক বলেন, চালের পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও গত ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি জানুয়ারি মাসে সকল চাল অযৌক্তিকভাবে কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে এখন থেকে দেশের ব্যবসায়ীদের অবশ্যই চাল ক্রয়ের পাকা রশিদ সংরক্ষণ ও বিক্রির পাকা রশিদ ক্রেতাকে প্রদান করতে হবে। পাশপাশি দোকানের দৃশ্যমান স্থানে হালনাগাদ মূল্যতালিকা প্রদর্শন করতে হবে। ভোজ্য তেলের আড়ৎ পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক তেল ব্যবসায়ীদেরকে খোলা তেলের পরিবর্তে বোতলজাত তেল বিক্রির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ড্রামে করে আসা তেল কোন রিফাইনারি থেকে এসেছে তা নির্ণয় করা যায় না। তাছাড়া ভোজ্যতেল ভিটামিন এ ফর্টিফায়েড করার যে নির্দেশনা রয়েছে তা খোলা তেলে নিশ্চিত করা যায় না। পাশাপাশি পাম, সুপারপাম ও সয়াবিন তেলের পরস্পর মিশ্রণ করে ভোক্তাসাধারণকে প্রতারিত করার ঝুঁকি থাকে।
অভিযান শেষে জেলা চেম্বার অব কমার্স এর সভাকক্ষে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে সভাপতিত্বে চাল, ভোজ্য তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ অংশীজনের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসন, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন তিনি।