জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের প্রত্যাশা পূরণে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের কাজ করতে হবে। পাঁচ বছর পূর্ণ হলে কৃতকর্ম নিয়েই জনগণের কাছে তাদের ফিরে যেতে হবে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণে ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন স্পিকার। এসময় স্পিকার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংবিধানই সর্বোচ্চ আইন। এর আলোকেই রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। সংবিধানের চারটি মূলনীতি- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্ম-নিরপেক্ষতা। আমাদের দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রচলিত। আমাদের জাতীয় সংসদ এককক্ষ বিশিষ্ট। নির্বাহী বিভাগ ও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা আইনসভার সদস্যদের অন্যতম কাজ।
তিনি বলেন, আমাদের সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট পাঁচবার এবং টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী। জনগণের ভোট ও সমর্থন নিয়ে তিনি নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদের প্রতিটি ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত সচেতন ও মনোযোগী। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে সংসদ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে স্মার্ট সংসদ ও দেশ গড়ে তুলতে সংসদ সদস্যদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো: শামসুল হক টুকু এমপি ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি বক্তব্য রাখেন। কৃষিমন্ত্রী মো: আব্দুস শহীদ এমপি অনুষ্ঠানে সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে সেশন এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি ও হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু এমপি উপস্থিত ছিলেন।