রাজধানীর উত্তরায় আজ বিএনপির কালো পতাকার মিছিল পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানকে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে সরিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় উত্তরা ১২ নং কবরস্থানের সামনে দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ সংসদ বাতিলসহ এক দফা দাবি আদায়ে ঢাকা মহানগর উত্তরে (জোন-২) কালো পতাকা মিছিল বের করলে মিছিল থেকে মঈন খানকে আটক করা হয়। পরে ৩টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মঈন খান ১২ নম্বর সেক্টরের এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন। কর্মসূচিতে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল একটি কারণে। সেটা হলো, আমরা একটা দেশ চাই যেদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসন থাকবে। কিন্তু আজ কিছুই নাই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি।’ বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে যাব। রাজপথে থাকব।
এ সময় পুলিশ মঈন খানকে গাড়িতে তুলে নেয়। তখন সমাবেশেও পণ্ড হয়ে যায়। এ বিষয়ে পুলিশের উত্তরা পশ্চিমের এডিসি সালাহউদ্দিন বলেন, তারা (বিএনপি) সমাবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এটা ছিল অনুমোদনহীন। তারা দরখাস্ত করেছিল, কিন্তু আইন-শৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে এটা অনুমোদন করা হয়নি। যে কারণে আমরা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি। আট থেকে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আবুল হাসান বলেছেন, মঈন খানকে কেউ আটক করেনি। তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও ড. আব্দুল মঈন খানের পিএস বাহাউদ্দিন ভূঁইয়া মিল্টন এবং মনিরুজ্জামান নামে বিএনপির এক কর্মীসহ তিনজনকে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। মিছিল থেকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, মহিলা দলনেত্রী পান্না ইয়াসমিনসহ ১৫ জনকে আটকের খবর জানা যায়।